সঞ্জয়ের ফাঁসি চাইল না নির্যাতিতার পরিবার। হাই কোর্টে শুনানিতে জানালেন আইনজীবী। সুপ্রিম কোর্টে শেষ হল না এসএসসি মামলার শুনানি। ঝুলেই রইল ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভাগ্য। রাজ্যে ৬০ স্থায়ী পদ, ৯০০ চালক-কনডাক্টর নিয়োগ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপ মোদির। জেপিসিতে পাশ ওয়াকফ বিল। ১৪টি সংশোধনের নির্দেশ কমিটির। ফের ছাত্র সংঘর্ষে উত্তাল বাংলাদেশ।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. সঞ্জয়ের ফাঁসি চায় না নির্যাতিতার পরিবার। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে এমনটাই জানালেন অভয়ার পরিবারের আইনজীবী। তাঁর কথায়, কন্যাহারা পরিবার চায় না যে দোষীর সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড হোক। বরং তাঁদের দাবি, ‘প্রকৃত অপরাধী’রা অধরা, তাদের তদন্তের আওতায় আনা হোক। এই বিষয়ে নিহতের বাবাও একই কথা জানিয়েছেন। যারা অপরাধী, তারা সকলে গ্রেপ্তার হোক, এটাই তাঁদের দাবি।
আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনে দোষী সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে শিয়ালদহের আদালত। তার বিরোধিতা করে এবং সর্বোচ্চ সাজার দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে পালটা মামলা করে রাজ্য সরকার এবং সিবিআই। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহঃ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে সোমবার শুনানি ছিল সেই মামলার। এদিকে সিবিআইও ইতিমধ্যেই একই দাবিতে মামলা দায়ের করেছে। তাতেই বিচারপতি দেবাংশু বসাক রাজ্য সরকারের আইনজীবীর উদ্দেশে প্রশ্ন তোলেন, একই দাবিতে মামলা, তবে পৃথকভাবে গ্রহণযোগ্যতার অর্থ কী? এদিন রাজ্যের মামলা দায়েরের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সিবিআইয়ের আইনজীবীও। সওয়াল-জবাব শেষে, মামলার এই অংশ অর্থাৎ দুটি পৃথক মামলা গ্রহণ করা হবে কি না, সেই সংক্রান্ত শুনানি শেষ হলেও, রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে। এদিকে, জয়নগরের নাবালিকা ধর্ষণ-খুনে ফাঁসির রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ আসামি মুস্তাকিন সর্দার। ওই মামলা গ্রহণ করেন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। তার ফলে স্বাভাবিকভাবেই বারুইপুর জেলা এবং দায়রা আদালতের রায় আপাতত কার্যকর হবে না। হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের পরই পরবর্তী পদক্ষেপ করা যাবে।
2. সুপ্রিম কোর্টে ঝুলেই রইল প্রায় ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ। সোমবারও শেষ হল না এসএসসি মামলার শুনানি। পরবর্তী শুনানি ১০ ফেব্রুয়ারি। ওই দিনই শুনানি শেষ করতে চান প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। তারপর রায়দান। জানা যাচ্ছে, এদিন ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর সওয়ালে বাগ কমিটির রিপোর্টের কথা উঠে আসে। গোটা বিষয়টিকে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি। অন্যান্য পক্ষের আইনজীবীদের কথাও শোনেন বিচারপতিরা। তবে দিনের শেষে তাঁদের একটাই প্রশ্ন, যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব কি না? আলাদা করা সম্ভব হলে যোগ্যদের রেখে অযোগ্যদের চাকরি বাতিল হবে। এরপরই বিকাশের দাবি, এসএসসি জানেই না কাদের নিয়োগ বৈধ। এদিকে, কলকাতা হাই কোর্টে মূল মামলার মামলাকারীদের দাবি ছিল, ২০১৬ সালের পরীক্ষার্থীদের ফের পরীক্ষা নেওয়া হোক। কারণ, এটা স্পষ্ট কারা যোগ্য, তাদের আলাদা করতে পারবে না রাজ্য় সরকার। তাই সকলকে ফের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হোক। সেই প্রশ্নের কিনারা হল না সুপ্রিম কোর্টেও। তাই আগামী ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখ অবধি ঝুলেই রইল চাকরিপ্রার্থীদের ভাগ্য।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।