এক লাইনে ছয় গ্রহ! দেখা যাবে পৃথিবী থেকে। বিরল অবস্থান নিঃসন্দেহে। তাই প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে মহাকাশে গ্রহের প্যারেড দেখার অপেক্ষায় অনেকেই। এর আগে কবে হয়েছিল এমন বিরল যোগ? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
মহাকাশে গ্রহের প্যারেড! শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। বিরল এই জাগতিক অবস্থানের সাক্ষী থাকবে গোটা পৃথিবী। এক রেখায় দেখা যাবে বৃহস্পতি-মঙ্গল-শুক্র-শনি-নেপচুন-ইউরেনাসকে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রবল উৎসাহে মহাকাশপ্রেমীরা।
পোশাকি নাম ‘প্ল্যানেটরি প্যারেড’। অত্যন্ত বিরল এই যোগ। আসলে, সৌরজগতের সব গ্রহই নিজ নিজ কক্ষপথে সূর্যের চারদিকে ঘুরছে। এর মাঝে এক সরলরেখায় গ্রহরা আসতেই পারে। কিন্তু একইসঙ্গে ছয় গ্রহ এক সরলরেখায় চলে আসা বিরলই বটে। জানা যাচ্ছে, পৃথিবী থেকে এই দৃশ্য সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে সূর্যাস্তের ৪৫ মিনিট পরে। চারটি গ্রহ অর্থাৎ বৃহস্পতি-মঙ্গল-শুক্র-শনিকে দেখা যাবে খালি চোখেই। বাকি দুই গ্রহ, নেপচুন ও ইউরেনাসকে খুব হালকাভাবে দেখা যাবে। ভারত থেকে এই দৃশ্য দেখার সম্ভাবনা কম। কারণ অবশ্যই দূষণ। একেবারে পরিস্কার বাতাস বা মুক্ত আকাশে খানিক হালকা অবয়বে দেখা যাবে ছটি গ্রহকেই। তবে টেলিস্কোপ ব্যবহার করলে সবটাই দেখা যেতে পারে। রাত বাড়লে দক্ষিণ-পশ্চিমে শুক্র ও শনিকে দেখা যাবে। বৃহস্পতি জ্বলজ্বল করবে মাথার উপরে। আর পূর্বদিকে দেখা যাবে মঙ্গলগ্রহকে। সব মিলিয়ে পরবর্তী ঘণ্টা তিনেক গ্রহগুলিকে দেখা যাবে একইসঙ্গে এক রেখায়। পরে শুক্র ও শনি দিগন্তের নিচের দিকে নেমে গেলে আর তাদের একসঙ্গে দেখা যাবে না। এই সব কটি গ্রহের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল চেহারায় দেখা দেবে শুক্রকে।
:আরও শুনুন:
বাজেটের ভিত্তি হোক ধর্ম! দাবি মুসলিম সংগঠনের, কর্নাটকে তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির
এর আগে এমন অবস্থান দেখা গিয়েছিল ২০২০ সালে। সে বছর জুলাই মাসে মহাকাশে প্লানেটরি প্যারেড দেখা গিয়েছিল। একইসঙ্গে এক লাইনে অবস্থানের কারণেই এমন নাম। তবে গ্রহগুলিকে স্থিরভাবেই দেখা যাবে মোটের উপর। এমনিতে প্রতিটি গ্রহই নিজের অক্ষে ঘুরপাক খায়। সেই অবস্থায় নিজের কক্ষপথে ঘুরতে থাকে। ২০২০-র আগে ২০০২ সালে এমন অবস্থান দেখা গিয়েছিল। সেবার এপ্রিল মাসে। তবে ২০২৫ সালের একেবারে শুরুতেই মহাকাশে দেখা মিলবে বিরল অবস্থান। তবে পৃথিবী থেকে পরিস্কারভাবে এই গ্রহের সারি দেখতে পাওয়ার একটাই শর্ত, আকাশ হতে হবে পরিস্কার। দূষণ যত কম ততই স্পষ্টভাবে দেখা যাবে এই অদ্ভুত দৃশ্য। তবে মহাকাশপ্রেমীরা সেসবের তোয়াক্কা করবেন না বলেই জানা যাচ্ছে। প্রত্যেকেই টেলিস্কোপ বা বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে বিরল দৃশ্যের সাক্ষী থাকবেন।