কুম্ভমেলার আবহে চর্চায় আইআইটি বাবা। দেশের অন্যতম নামী এই প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করেও সন্ন্যাস জীবন বেছে নিয়েছেন তিনি। তবে ওই সাধু একা নন, আরও অনেক আইআইটি গ্রাজ্যুয়েট রয়েছেন যারা সন্ন্যাসী। তবে কী ইঞ্জিনিয়ারিং-এর পাশাপাশি আধ্যাত্মিকতার পাঠও দেয় আইআইটি? সম্প্রতি সামনে এল সেই তথ্য! আসুন শুনে নেওয়া যাক।
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে আধ্যাত্মিকতার পাঠ! তাও আবার আইআইটির মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। সম্প্রতি জানা যাচ্ছে এমনটাই। দক্ষিণের বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে পড়ুয়াদের কুম্ভ যাত্রার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ ব্যবস্থায় বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তোড়জোর।
:আরও শুনুন:
কুম্ভমেলায় ওয়াইফাই চাই, যোগীর কাছে আবদার সেই আইআইটি বাবার
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে কারিগরি বিদ্যা শেখানো হয়। সারাদিন অঙ্ক-বিজ্ঞান চর্চায় ব্যস্ত থাকেন পড়ুয়ারা। আইআইটি হলে তো কথাই নেই! দেশের সেরার সেরা মেধাবীদের ভিড় সেখানে। কাজেই পড়াশোনার মানও হয় সেইমতো। কিন্তু স্রেফ পড়াশোনাই যথেষ্ট নয়। জানতে হবে দেশের সংস্কৃতি। চিনতে হবে আধ্যাত্মিক পীঠস্থান। তাই অভিনব এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মাদ্রাজ আইআইটি। ঠিক অনুষ্ঠান বলা ভুল, আসলে তীর্থযাত্রা। তবে উদ্দেশ্য স্রেফ পুণ্যঅর্জন নয়, বরং দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা তৈরি করা। এমনিতে দক্ষিণ ভারত এবং উত্তর ভারতের সংস্কৃতিতে বিস্তর অমিল। আচার-অনুষ্ঠান থেকে পোশাক, খাদ্যাভাস, সবেতেই ভিন্নতা ধরা পড়ে। সেই ভিন্ন সংস্কৃতি সম্পর্কে সঠিক ধারণা তৈরি হোক পড়ুয়াদের এমনটাই চাইছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর তাই এমন ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি। উত্তর ভারতের অন্যতম নামকরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি আধ্যাত্মিকতার চর্চা চলে। রামমন্দির থেকে কুম্ভ, দেশজুড়ে ধর্মকে কেন্দ্র করে যে উত্তেজনা তাতেও উত্তরের পাল্লাভারী। তাই দক্ষিণের পড়ুয়ারা পাড়ি দিচ্ছে সেখানে। সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, তীর্থভ্রমণ, সবই হবে। অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে, ‘কাশী-তামিল সঙ্গম’। যা আদতে ভারতের দুই মেরুর একে অপরকে চেনার সেতু হিসেবে কাজ করবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
:আরও শুনুন:
চাকরি ছেড়ে সন্ন্যাস! শুধু কুম্ভে নয়, দেশজুড়ে রয়েছেন আরও IIT গ্র্যাজুয়েট সাধু
এই নিয়ে তৃতীয়বার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। তবে এবারের বিশেষত্ব কুম্ভমেলা। সেখানেও যাওয়ার সুযোগ পাবেন পড়ুয়ারা। ধারণা, কুম্ভমেলায় গোটা ভারতের সংস্কৃতি খুঁজে পাবেন তাঁরা। একইসঙ্গে উত্তর এবং দক্ষিণের মিলন কিভাবে হচ্ছে, তার আসল উত্তর মিলবে প্রয়াগ সঙ্গমেই। তবে আইআইটির এই বছরের উদ্যোগ নিয়ে অন্য কারণে বিশেষ চর্চা চলছে। সৌজন্যে কুম্ভের আইআইটি বাবা। তাঁর জীবন কাহিনি শুনে অনেকের মনেই আইআইটি সম্পর্কে কৌতুহল জেগেছিল। কেন এই প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা পড়ুয়ারাই সন্ন্যাস জীবন বেছে নিচ্ছেন, সেই খোঁজ করতে শুরু করেন কেউ কেউ। তাই আইআইটি মাদ্রাজের পড়ুয়াদের কুম্ভযাত্রার খবর শুনে বেশ অবাক হয়েছেন তাঁরা। যদিও এর সঙ্গে আইআইটি বাবা হিসেবে খ্যাত ওই সাধুর কোনও যোগ নেই বলেই জানা যাচ্ছে। দুটি ঘটনা সম্পূর্ণ আলাদা। এক্ষেত্রে স্রেফ দেশের সংস্কৃতির পরিচয় ঘটাতেই কুম্ভযাত্রা। তাই অনুষ্ঠান সফল করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সহযোগিতা চেয়েছে কর্তৃপক্ষ।