পোষ্য হিসাবেও গোল্ডেন রিট্রিভারের আদর আর অ্যাডর দুই-ই বেশি। তার অন্যতম কারণ এরা খুব চনমনে অর্থাৎ এনার্জেটিক। মালিককে ভালোবাসে, মিশুকে স্বভাবের। এরকম কয়েকটি বৈশিষ্ট্য থেকেই প্রেমের অভিধানে ‘গোল্ডেন রিট্রিভার টাইপ’ কথাটি চলে এসেছে।
গোল্ডেন রিট্রিভার বয়ফ্রেন্ড! শুনে লাগে খটকা! তা লাগতেই পারে। বিশেষত যাঁরা জেনারেশন মিলেনিয়াল। প্রেমিকের সঙ্গে কুকুরের তুলনা শুনে তাঁরা হয়তো একটু ক্ষুণ্ণ হতে পারেন। তবে, তরুণ প্রজন্মের ভাষা বদলায়। বদলায় অভিব্যক্তি। আর তাই নয়া জেনারেশনের কথায় প্রেমিক আর গোল্ডেন রিট্রিভার পাশাপাশি বসে গেলে বুঝতে হবে তা আদতে আদরেরই সমীকরণ।
প্রেমিক-প্রেমিকার একে অন্যের প্রতি আদরের সম্বোধন কী হতে পারে? এ নিয়ে রীতিমতো গবেষণা চলতে পারে। আর তাহলেই দেখা যাবে, এক কালে যে কথা কেউ মুখে আনার কথা ভাবতেও পারতেন না, পরের প্রজন্মে তাই-ই হয়তো খুব স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। এই সূত্রেই বদলায় প্রেমের ভাষা। জন্ম হয় নতুন অভিব্যক্তির। ঠিক সেভাবেই এই চলতি বছরে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে ‘গোল্ডেন রিট্রিভার বয়ফ্রেন্ড’ কথাটি। জনপ্রিয় এক ডেটিং সাইটের তথ্য ঘেঁটে দেখা গিয়েছে, প্রায় ৪৫ শতাংশ সিঙ্গলের পছন্দ এই ধরনের প্রেমিক। কথাটি তাই ফিলহাল প্রেমের দুনিয়ায় ট্রেন্ডিং-ও বটে। তা সাধের পোষ্যের সঙ্গে প্রেমিকের তুলনা টানা মন্দ কিছু নয়। আর মন্দ বলে লোকে বলুক না! যা নিজের পছন্দ, তা মন খুলে জানাতেই ভালোবাসে এই প্রজন্ম। এ নিয়ে তাঁদের বিশেষ কোনও ছুঁৎমার্গ নেই।
পোষ্য হিসাবেও গোল্ডেন রিট্রিভারের আদর আর অ্যাডর দুই-ই বেশি। তার অন্যতম কারণ এরা খুব চনমনে অর্থাৎ এনার্জেটিক। মালিককে ভালোবাসে, মিশুকে স্বভাবের। এরকম কয়েকটি বৈশিষ্ট্য থেকেই প্রেমের অভিধানে ‘গোল্ডেন রিট্রিভার টাইপ’ কথাটি চলে এসেছে। কাছের মানুষটি ঠিক কেমন হবে? যিনি অনুগত, বন্ধুত্বপূর্ণ, এনার্জেটিক, সবথেকে বড় কথা গোঁড়া প্রকৃতির নয়। বরং মিলেমিশে চলতে পছন্দ করেন। যিনি অন্যকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেন। এবং যাঁর উপর নির্ভর করা যায়। অর্থাৎ কাছের মানুষের মধ্যে একজনের যা যা খোঁজ, তা যে খুব বদলেছে তা বলা যায় না। যা বদলেছে, তা হল প্রকাশের ভাষা। এই সবকিছু গুণ মিলেমিশে যদি প্রকাশ করতে হয়, তবে জেন জি এক কথায় বলবে, গোল্ডেন রিট্রিভার টাইপ। এমনকী ‘গোল্ডেন রিট্রিভার বয়ফ্রেন্ড’ পেয়ে তাঁরা যে খুশি, এ কথা প্রকাশ্যে জানাতেও দ্বিধা করেন না তরুণীরা। কেননা নাগরিক অভিধানে এ একটি শব্দবন্ধ মাত্র। এতে তাই দোষের কিছু তাঁরা দেখছেন না।
সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরাও এই অভিব্যক্তিকে স্বাগতই জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, সম্পর্কের পরিপূর্ণতার কথাই প্রকাশ পাচ্ছে এর মধ্য দিয়ে। এমন একজন মানুষের কথা বলা হচ্ছে, যিনি তাঁর সঙ্গীকে অ্যাপ্রিসিয়েট করবেন। হতাশা থেকে তাঁকে বের করে আনবেন। খারাপ সময়ে পাশে থেকে, জীবনকে ভালোবাসতে সাহায্য করবেন। এই যে চাওয়া, তা হয়তো অনেকেই সাধের পোষ্যের মধ্যে খুঁজে পান, বিশেষত গোল্ডেন রিট্রিভারের মধ্যে। আর তাই প্রজন্মের ভিতর থেকেই জন্ম নিয়েছে নতুন এই নাগরিক অভিব্যক্তি। তা ভাল কি মন্দ, পরের কথা; তবে বুঝতে হবে যে, নতুন প্রজন্ম যে নতুন ভাষায় কথাবলছে, তার প্রকৃত অর্থ কী। সম্পর্কের যে আকাশ খোঁজা হচ্ছে, তাতে এই অভিব্যক্তি যেন আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
অতএব, যদি কোনও তরুণী ‘গোল্ডেন রিট্রিভার বয়ফ্রেন্ড’ কথাটি উল্লেখ করেন, ভাববেন না যে, তিনি সঙ্গীকে কুকুর বলছেন। আসলে বলছেন তাঁর ভালোবাসার কথা। সেটুকু না বুঝলে আদতে পিছিয়ে পড়তে হবে অন্যদেরই।