চার সন্তানের জন্ম দিলেই মিলবে এক লক্ষ। এমনটাই ঘোষণা করলেন মধ্যপ্রদেশের ব্রাহ্মণ সংগঠনের সভাপতি। প্রকাশ্য সভায় তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই শোরগোল শুরু হয়েছে। ঠিক কী বলেছেন ওই পণ্ডিত? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
ছোট পরিবার, সুখী পরিবার। সরকারি বিজ্ঞাপনের এই লাইন সকলের চেনা। তবে এর উলটো সুরেও কথা বলতে শোনা যায় অনেককেই। এমনকি সমাজে পরিচিতি রয়েছে এমন অনেকেও এর বিরুদ্ধে কথা বলেন। ঠিক যেমনটা বলেছেন মধ্যপ্রদেশের ব্রাহ্মণ সংগঠনের সভাপতি। দাবি, কোনও ব্রাহ্মণ যদি চার সন্তানের জন্ম দেন, তাহলে তাঁকে ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।
আরও শুনুন: কুম্ভমেলায় স্বাগত মুসলিমরাও, তবে বিশেষ শর্তে, যোগী আদিত্যনাথ বলছেন…
সাম্প্রদায়িক মন্তব্য নয়। তবে বিতর্কিত অবশ্যই। সৌজন্যে মধ্যপ্রদেশ পরশুরাম কল্যাণ বোর্ডের সভাপতি পণ্ডিত বিষ্ণু রাজোরিয়া। সে রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমান মর্যাদা পান এই পণ্ডিত। কাজেই তাঁর কথায় যে গুরুও রয়েছে তা বলাই বাহুল্য। একইসঙ্গে সমাজে তাঁর মন্তব্যের গহণযোগ্যতাও রয়েছে। সেই তিনিই কিনা বলছেন, রাজ্যের কোনও ব্রাহ্মণ পরিবারে চার সন্তান হলেই, দেওয়া হবে ১ লক্ষ টাকা। এক্ষেত্রে তরুণদের উদ্দেশ্য করেছেন তিনি। সরাসরি বলেছেন, তাঁরাই চাইলে এমনটা করতে পারেন। তবে এমন মন্তব্যের নেপথ্যে বিশেষ যুক্তিও সাজিয়েছেন বিষ্ণু রাজোরিয়া। তাঁর আক্ষেপ, দেশে ধর্মদ্রোহীদের সংখ্যা বাড়ছে। এবং তার কারণ হল পরিবার বৃদ্ধিতে মন না দেওয়া। সরাসরি না বলেও বিশেষ এক সম্প্রদায়কে কটাক্ষ করতে চেয়েছেন পণ্ডিত রাজোরিয়া। তাঁর আশ্বাস, তিনি সভাপতি থাকুন বা নাই থাকুন, এই অর্থ পুরস্কার মিলবেই। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর এই মন্তব্যে শোরগোল শুরু হয়েছে। বিরোধিতায় সরব হয়েছে কংগ্রেস। তবে বিজেপি শাসিত রাজ্যে রাজোরিয়ার বক্তব্য সমর্থন করেনি গেরুয়া শিবিরও।
আরও শুনুন: বিভেদের রাজনীতি যতই ঘিরে থাকুক, ইউনুস-আফসারদের ছাড়া কুম্ভমেলাও অচল
রাজ্যের এক বিজেপি নেতার দাবি, ওই মন্তব্য ব্যক্তিগত। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। শাসকদল সংবিধান মেনে চলে। সুতরাং এমন কোনও মন্তব্য বা উক্তিকে বিজেপি সরকার সমর্থন করে না যেখানে সংবিধানের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়। পাশাপাশি এই ধরনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার স্রেফ দম্পতির থাকা উচিত, এমনটাও জানিয়েছেন ওই বিজেপি নেতা। অর্থাৎ কোনওভাবেই যে ব্রাহ্মণ সংগঠনের সভাপতির মন্তব্য বিজেপির তরফে সমর্থন করা হচ্ছে না, তা স্পষ্ট করেছেন গেরুয়া শিবিরের ওই নেতা।