রণে, বনে, জলে , জঙ্গলে যেখানেই এখন যান না কেন, সেলফি তোলা চাই। এই কাজটা করতে কেউ ভোলেন না। কবে তোলা হয়েছিল প্রথম সেলফি? জানেন কি
শুধু উৎসব নয়, রণে, বনে, জলে , জঙ্গলে যেখানেই এখন যান না কেন, সেলফি তোলা চাই। এই কাজটা করতে কেউ ভোলেন না। বাবা, মা, বন্ধু, বান্ধব, পোষ্য, এমনকি প্রকৃতি সঙ্গী যে কেউ হতে পারে। আর সঙ্গী না পেলেও কুছ পরোয়া নেহি। সেলফি মানেই তো নিজের ছবি তোলা। ক্যামেরার সামনে নানারকম পোজে ছবি তুলতে এখন আর কাউকে অনুরোধ করতে হয় না। আপনা হাত জগন্নাথ। শুধু অ্যাঙ্গেলটা বুঝে ক্লিক করা। ব্যস। ভাগ্যিস সেলফি ছিল। নাহলে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালের যে কী হত! আর পুজো বা বিয়ের বাড়িতে যদি একটা সেলফি না তোলেন তাহলে তো আপনার স্টেটাসের একেবারে দফারফা। কিন্তু জানেন কি, এই সেলফি এল কোথা থেকে? কলার তুলে বলবেন তো, মানে? আমাদের জেনারেশনের যুগান্তকারী আবিষ্কার সেলফি। আমাদের বাবা, ঠাকুরদার সময়ে কি সেলফি ছিল?
আরও শুনুন :পৃথিবীর নানা প্রান্তের যৌনতার এইসব রীতি আপনাকে অবাক করবে
ছিল ছিল। তারও আগে সেলফি ছিল। প্রথম সেলফি তোলা হয়েছিল ১৮৩৯ সালে। সেই হিসাবে সেলফির বয়স ১৮২। প্রথম সেলফি তুলেছিলেন রবার্ট কর্নেলিয়াস। ফিলাডেলফিয়ায় থাকতেন রবার্ট। পারিবারিক ঝাড়লণ্ঠনের ব্যবসা। ভাবছেন তো তখন এই টেকনোলজি কোথায় যে সেলফি তুলবে? তামার একটা পাতকে খুব ভাল করে পালিশ করা হয়। ঠিক যেন আয়না। এর ওপর পড়ত আলোর প্রতিফলন। আর তাতেই উঠত ফার্স্টক্লাস সেলফি। রবার্ট বুদ্ধি তাঁর দোকানের ঝলমলে ঝাড়বাতির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন অনেকটা সময়। সামনে ছিল ক্যামেরার লেন্স। আলো পড়ার পর তাতে উঠে গিয়েছিল ছবি। টানা ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে থাকতে গিয়ে রবার্টের দৃষ্টি সরে যায়। তাই সেলফিটা একটু ঝাপসা ওঠে। ছবিতে ছিল এরকম, একজন যুবক দাঁড়িয়ে আছে একটু কাত হয়ে, হাতদুটো বুকের কাছে রাখা। এই একটু তফাৎ আছে এখনকার সেলফির থেকে।
আরও শুনুন: বাজে খরচে পকেট ফাঁকা! হাতে রইল সঞ্চয়ের খানকয় Tips
এখন শুধু একটাই হাত দেখা যায়। রবার্ট সেলফি তুলেছিলেন ড্যাগেরোটাইপ পদ্ধতিতে। এই ছবি আমেরিকার লাইব্রেরি অফ কংগ্রেসে এখনও সংরক্ষিত রয়েছে।
বাকি গল্প শুনে নিন প্লে বাটন ক্লিক করে।