তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেন, দ্বিতীয়বার সাসপেন্ড আরাবুল ইসলাম। মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ায় প্রসূতির মৃত্যু। মেদিনীপুর হাসপাতালে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের অনুমতি পেল CBI। মসজিদ সংলগ্ন জলাশয়ে পুজো করা যাবে না। সম্ভল মামলায় বড় নির্দেশ শীর্ষ আদালতের। দাবানলে ক্যালিফোর্নিয়া যেন শ্মশান। বেড়েই চলেছে মৃত্যুমিছিল।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেন। একইসঙ্গে দ্বিতীয়বারের জন্য সাসপেন্ডেড আরাবুল ইসলাম। জানা যাচ্ছে, শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগেই দুজনের বিরুদ্ধে এমন কড়া পদক্ষেপ। শুক্রবার দলের দুই পুরনো নেতার সাসপেনশনের খবর প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, দলবিরোধী কাজের অভিযোগে ভাঙড়ের আরাবুল ইসলাম এবং চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেনকে সাসপেনশনের পথে হেঁটেছে শাসকদল। এর আগেও আরাবুলকে দল সাসপেন্ড করেছিল ৬ বছরের জন্য। পরে তা প্রত্যাহার করে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। তবে সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার চাপা দ্বন্দ্ব চলছিল। বিষয়টিকে দল মোটেও ভালো চোখে দেখেনি। মনে করা হচ্ছে, সেই কারণেই আরাবুলকে সাসপেনশনের পথে হাঁটল শাসকদল। এদিকে, আর জি কর কাণ্ডের সময়ে ডাঃ শান্তনু সেনের ভূমিকা ভালো চোখে দেখেনি তৃণমূল। প্রথমে আর জি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের পদ, পড়ে দলের মুখপাত্র হিসেবেও বাদ পড়েন শান্তনু। আর এবার এই চিকিৎসক নেতাকে সাসপেন্ড করল দল। যদিও দলের এই সিদ্ধান্ত জানার পরই কার্যত ক্ষোভ উগরে দেন শান্তনু সেন। অভিযোগ, দলকে ভুল বোঝানো হয়েছে তাঁকে নিয়ে।
2. মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ায় সরকারি হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঘটনায় চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে, বুধবার এই হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেন মামনি রুই দাস নামে এক তরুণী। সেদিন আরও বেশ কয়েক জনের অস্ত্রোপচার হয় ওই হাসপাতালে। রোগীদের অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে স্যালাইনও দেওয়া হয়। তবে বৃহস্পতিবার থেকে মামনি-সহ পাঁচজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তাঁদের সকলকেই আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে শুক্রবার সকালে মারা যান মামনি রুই দাস। মৃত্যর খবর প্রকাশ্যে আসতেই পরিবারের লোকজন হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়া হয়েছে বলেই মামনি মারা গিয়েছেন। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে ওই হাসপাতালে তদন্তকারী দল পাঠাচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমও বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন। এই নিয়ে রাজ্যের জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস-এর তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, হাসপাতালের তরফে ১১ সদস্যের একটি তদন্তকারী দলও তৈরি করা হয়েছে। ওই স্যালাইন কি সত্যিই বিষাক্ত? তার খোঁজ চালাবে তদন্তকারী দল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।