আর জি কর কাণ্ড বিরলতম ঘটনা। দাবি তুলে অভিযুক্ত সঞ্জয়ের ফাঁসি চাইল সিবিআই। বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়া পদক্ষেপ হাই কোর্টের। শহরের ৮টি বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ। কৃষক আন্দোলন নিয়ে এবার সুপ্রিম তোপের মুখে কেন্দ্র। কেন আলোচনা বসা হচ্ছে না, প্রশ্ন শীর্ষ আদালতের। বাংলাদেশে বন্দি চিন্ময় প্রভুর সুবিচারের দাবিতে সুর চড়াল ভারত। নিশ্চিত করতে হবে সন্ন্যাসীর সুবিচার। সিডনিতে ফের ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয়, দুশোর কমেই শেষ বুমরাহদের ইনিংস।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
১/ আর জি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন বিরলতম ঘটনা। আদালতে এমনই দাবি করে ধৃত সঞ্জয়ের ফাঁসির সাজার দাবি জানাল সিবিআই। এই ব্যাপারে সিবিআইয়ের পক্ষে যে ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাঁদের আংশিক বক্তব্যও পেশ করা হয়। বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স বা নির্যাতিতার দেহ থেকে যে লালারস উদ্ধার করা হয়েছে, ডিএনএ পরীক্ষা অনুযায়ী তা যে সঞ্জয় রাইয়ের, তা আইনজীবী তুলে ধরেন। এ ছাড়াও সঞ্জয় রাইয়ের জামাকাপড় ও জুতো থেকে যে রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে, তা-ও যে নির্যাতিতার, সেই ব্যাপারেও ফরেনসিকের রিপোর্ট তুলে ধরা হয়। সিবিআইয়ের তৈরি বিশেষজ্ঞদের টিমও যে সঞ্জয় রাইকে একমাত্র অভিযুক্ত বলে রিপোর্ট দিয়েছেন, সেই তথ্যও সিবিআইয়ের পক্ষে এদিন তুলে ধরা হয় বলে সূত্রের খবর। এই মামলায় আগামী ৪ জানুয়ারি অভিযুক্তর আইনজীবীকে বিচারকের সামনে যুক্তি দিয়ে বক্তব্য বা ‘আর্গুমেন্ট’ পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
২/ বেআইনি নির্মাণ নিয়ে এবার কঠোর পদক্ষেপ করল কলকাতা হাই কোর্ট। জমি জবরদখল করে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এল আদালতের নির্দেশ। এদিন শহরের ৮টি বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিল আদালত। এনিমি প্রপার্টি এবং বেআইনি নির্মাণ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল আগেই। সেই মামলার সূত্রেই গঠিত হয়েছিল কলকাতা পুরসভা ও পুলিশের মিলিত টাস্ক ফোর্স। এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। হাই কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, অবিলম্বে ৮টি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে হবে। পানীয় জলের পরিষেবা এবং সিইএসসির বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ করতে হবে। উচ্ছেদে কোনও সমস্যা হলে পুলিশ তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে। উচ্ছেদের পর ওই সম্পত্তি অবিলম্বে ভেঙে ফেলতে হবে। আদালতের এই নির্দেশ উপযুক্তভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা তা কলকাতা পুরসভা, পুলিশ এবং সিইএসসিকে নজরদারি চালাবে। এবং এই সংক্রান্ত রিপোর্ট আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টে জমা দিতে হবে। তবে ইতিমধ্যে ১৭০ নম্বর কেশবচন্দ্র স্ট্রিটের এক বাসিন্দা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। শীর্ষ আদালত সম্পত্তির উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে। তাই এই সম্পত্তি ভাঙা হবে কিনা, তা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের উপরই এখন নির্ভর করছে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।