রাজ্যে অনুপ্রবেশ নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। বিএসএফ-এর ভূমিকা নিয়ে সিদ্ধান্ত কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়ার। জমি জবরদখল রুখতে কড়া মুখ্যমন্ত্রী। জমি পুনরুদ্ধারে ৬ মাসের ডেডলাইন। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে রিপোর্ট পেশ রাজ্যের। সন্তোষ জয়ের পুরস্কার বাংলা দলকে। গোটা বাংলা দলের জন্য সরকারি চাকরির ঘোষণা মমতার। বাংলাদেশে ফের জামিন খারিজ চিন্ময়কৃষ্ণের। চট্টগ্রাম আদালতে নামঞ্জুর আবেদন। মুজিবের গুরুত্ব আরও কমল বাংলাদেশ। পাঠ্যবইয়ে নাম বদল স্বাধীনতা ঘোষকের।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
১/ রাজ্যে অনুপ্রবেশ নিয়ে এবার কেন্দ্রকে চিটি লিখতে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বছরের দ্বিতীয় দিনই নবান্নে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, মন্ত্রী, বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সূত্রেই অনুপ্রবেশ ইস্যুতে বিএসএফ-কে কার্যত তুলোধোনা করে তিনি বলেন, ‘বিএসএফের ভিতরের লোকজন অনুপ্রবেশে সাহায্য করছে। সীমান্ত তো পুলিশ পাহারা দেয় না। সীমান্ত পেরিয়ে এসে কেউ কেউ অপরাধমূলক কাজ করে চলে যাচ্ছে। খুনও হয়ে যাচ্ছে। মালদহ, নদিয়া দিয়ে অনুপ্রবেশ ঘটানো হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ হচ্ছে। এনিয়ে আমি বারবার কেন্দ্রকে বলেছি।” এরপরই এ বিষয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়ার কথা জানান তিনি। পুলিশের ডিজির উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য,’সীমান্ত তৃণমূল বা পুলিশ পাহারা দেয় না। পাহারা দেয় বিএসএফ। আর তারাই অনুপ্রবেশে সাহায্য করছে। সীমান্ত পেরিয়ে দুষ্কৃতীরা এসে খুন করে চলে যাচ্ছে। ডিজি রাজীব কুমার এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য পেয়েছেন, যা গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় স্তরেও কিছু কিছু তথ্য মিলেছে। আমাকে সেসব তথ্য সবিস্তারে দেওয়া হোক।’ সেই তথ্য হাতে নিয়েই কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত তাঁর। এদিন একই অভিযোগে সরব হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে অনুপ্রবেশ নিয়ে সীমান্তরক্ষা বাহিনী বা বিএসএফকেই দুষেছেন তিনি।
২/ জমি জবরদখল রুখতে কড়া অবস্থান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যে বা যারা এই কাজ করছে তাদের কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না, বলেই সাফ জানালেন তিনি। নতুন বছরে বৃহস্পতিবার প্রথম প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি জমি জবরদখল করা ‘বেআইনি’ ফ্ল্যাটগুলির মিউটেশন ও পারমিশন নিয়ে আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ বার্তা, “ নতুন করে কিছু হলে আইসি, এসপি, বিডিও, জেলাশাসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। মন্ত্রী, কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত যদি কেউ মনে করেন নিজের স্বার্থে বসিয়ে দেবেন, তাঁদের রেয়াত করব না। আইন সবার জন্য সমান। পুরসভা, নগরোন্নয়ন দপ্তর কাউকে রেয়াত নয়।” ‘অবৈধ’ভাবে তৈরি ফ্ল্যাটগুলিকে কীভাবে আইনি কাঠামোয় আনা যায় সে পন্থাও বাতলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যারা জবরদখল হওয়া এলাকাগুলিতে বসবাস করছেন, যাঁদের দোকান রয়েছে তাঁদের জন্য ৬ মাস সময় দেওয়া হবে। সরকারের তরফে একটা দাম বেঁধে দেওয়া হবে। তিন ধাপে টাকা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। সরকারকে টাকা দিয়ে বেআইনি জায়গাগুলিকে বৈধ করা হবে।” তবে যারা জমি জবরদখলের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।