কোভিড আতঙ্ক এখনও কাটেনি। নতুন বছরে ফিরে আসবে অতিমারি, এই আশঙ্কাও রয়েছে অনেকের মনেই। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড নয়, ২০২৫-এ আতঙ্ক ছড়াতে পারে অন্য এক রোগ। যা কোভিডের চাইতেও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে অনায়াসে! ঠিক কোন রোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
দুয়ারে নতুন বছর। সেই নিয়ে উত্তেজনা অনেকের মনেই। সকলেই চাইছেন নতুন বছর ভালো কাটুক। কিন্তু না চাইতেও একটা ভয় থেকে যাচ্ছে! ঠিক ধরেছেন, ভাইরাস আতঙ্কের কথাই বলছি। ২০২০ সালের পর থেকে প্রতি বছর নতুন করে কোভিড ফিরে আসার আতঙ্কে ভোগেন কেউ কেউ। তবে আগামী বছরে কোভিড ভয় নেই, বরং তার চেয়েও বড় কিছু অপেক্ষা করছে। একথা বলছেন বিশেষজ্ঞরাই।
২০২০ সাল তছনছ করেছিল কোভিড। সেই রেশ কাটতে সময় লেগেছে। পুরোপুরি কেটেছে, এমনটা বলাও ভুল। নানারূপে সামনে এসেছে করোনা ভাইরাস। তাতে কাবু হয়েছেন অনেকেই। বলা ভালো, এখনও অজানা সেই রোগে ভুগছেন কেউ কেউ। রোগের তালিকায় ম্যালেরিয়া, এইডস এবং টিবি-ও রয়েছে। প্রতিবছর এই রোগে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। তবে ২০২৫ সালে এইসব নয়, অন্য এক রোগ আতঙ্কের কারণ হতে পারে। যার নামও তেমন অচেনা নয়। কথা বলছি, ইনফ্লুয়েঞ্জা সম্পর্কে। এমনিতে এই রোগের অনেক ধরণ রয়েছে, তবে এক্ষেত্রে যে ধরনটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে, তা নতুন। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে এই ভাইরাসটির লক্ষণও ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই। বিজ্ঞানীরা একে ইনফ্লুয়েঞ্জার সাবটাইপ হিসেবে দেখছেন, নাম এইচ ফাইভ এন ওয়ান। অবশ্য এরও একটা প্রচলিত নাম রয়েছে, ‘বার্ড ফ্লু’। পাখিদের এই রোগ অনেকেরই চেনা, তবে এবার সেই রোগ মানুষের শরীরেও বাসা বাঁধতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। শুধু তাই নয়, সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা যাচ্ছে, ২০২৪ সালে সবথেকে বেশি যে রোগ নিয়ে ইন্টারনেট সার্চ হয়েছে, তা ইনফ্লুয়েঞ্জা। এর থেকেই মনে করা হচ্ছে, অনেকে ইতিমধ্যেই এই রোগে আক্রান্ত। আগামী বছর সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
তবে আগে থেকে সতর্ক হলে বিপদ কম হতেই পারে। এক্ষেত্রে জোর দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষায়। সামান্য অসুস্থতা মনে হলেই যেতে হবে ডাক্তারের কাছে। তাদের পরামর্শ মতোই ওষুধ খেয়ে সারিয়ে ফেলতে হবে রোগ। ফেলে রাখলে বা নিজে ডাক্তারি করলে বিপদ বাড়বে বই কমবে না। পাশাপাশি অন্যান্য রোগের আশঙ্কাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই সতর্ক থাকতে হবে সার্বিক ভাবেই। এমনিতেই দূষণের কারণে এমন অনেক রোগ পাকাপাকিভাবে আমাদের মাঝে জায়গা করে নিয়েছে, যা সারানো কঠিন। সেক্ষেত্রে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা সত্যিই চ্যালেঞ্জের। তাও চেষ্টা করতে ক্ষতি কি! বাইরে বেরোলে মাস্ক পরা, সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, যেখানে সেখানে খাবার না খাওয়া এইসব অভ্যাস করে ফেললেই সুরাহা মিলবে। সেইসঙ্গে নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস বাড়াবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তাতেই সমস্যা মিটবে।