রতন টাটার আদলে কেক তৈরি করেছে তামিলনাড়ুর এক বেকারি। তা সাজিয়ে রাখা হয়েছে দোকানের সামনেই। সেই ছবি দেখে আবেগে ভেসেছে নেটদুনিয়া। যদিও এমনটা নতুন নয়, প্রতিবছর কেক দিয়ে বিশেষ কারও মূর্তি গড়ে ওই বেকারি সংস্থা।
রতন টাটার আদলে কেক তৈরি করেছে তামিলনাড়ুর এক বেকারি। তা সাজিয়ে রাখা হয়েছে দোকানের সামনেই। সেই ছবি দেখে আবেগে ভেসেছে নেটদুনিয়া। যদিও এমনটা নতুন নয়, প্রতিবছর কেক দিয়ে বিশেষ কারও মূর্তি গড়ে ওই বেকারি সংস্থা।
স্রেফ শিল্পপতি নন, রতন টাটা ছিলেন ভালোবাসার মানুষ! তাঁর প্রয়াণে আবেগে ভেসেছিল গোটা দেশ। ফিরে এসেছিল তাঁর জীবনের নানা ঘটনা। সরকারের তরফেও শিল্পপতির মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করা হয়। অবশ্য এমনটাই যে স্বাভাবিক, তা বলাই বাহুল্য। টাটা গোষ্ঠীকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারিগর তিনি। কিন্তু রতন টাটা বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেবল ব্যবসার হিসেবনিকেশে তাঁর স্কোরশিট ধরা যাবে না। সারাজীবন ধরেই, টাটা গোষ্ঠীর লাভ-লোকসানের যাবতীয় হিসেবের বাইরে, মানুষ হিসেবে নিজের একক পরিচয়টিও গড়ে চলেছিলেন রতন টাটা। তাই গোটা দেশের ভালোবাসা কুড়িয়েছেন। রতন টাটার মৃত্যুর পর চর্চায় এসেছিল তাঁর প্রিয় পোষ্য। ভাইরাল হয়েছিল টাটার সঙ্গে অবোলা জীবের একটি ছবি। ঠিক সেই ছবির আদলেই তৈরি হয়েছে কেক। উচ্চতায় ৭ ফুট কেকটি তৈরি করতে ৬০ কেজি চিনি লেগেছে। ব্যবহার হয়েছে ২৫০টি ডিম। সেইসঙ্গে নানা রকমের রঙ ব্যবহার হয়েছে। কিন্তু দেখে বোঝার উপায় নেই এটি আসলে একটা কেক!
এর আগেও রতন টাটাকে সম্মান জানিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়েছে। তাঁর আবক্ষ মূর্তিও উন্মোচন করা হয়েছে। তবে এইভাবে সম্মান জানানো বিরল বলাই যায়। মূলত শিল্পজগতে তাঁর অবদানের কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ করেছে তামিলের ওই বেকারি সংস্থা। তবে এই ছবির আদলে মূর্তি গড়ার নেপথ্যে আরও এক বিশেষ কারণ রয়েছে, তা হল জীবজন্তুর প্রতি তাঁর ভালোবাসা। মারা যাওয়ার পর সম্পত্তির উইলে পোষ্যের নামও উল্লেখ করেছিলেন টাটা। সেই নিয়ে বেশ চর্চা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ক্রিসমাসের আগে থেকেই ওই কেক দোকানের সামনে রাখা আছে। নতুন বছরের শুরুর সময়টাতেও একইভাবে কেক সাজানো থাকবে। ইতিমধ্যেই অনেকে এই কেক দেখতে হাজির হচ্ছেন দোকানের সামনে।