ডেটিং সাইটে একাউন্ট খুলে ‘নো স্ট্রিং অ্যাটাচ’ এখন জল ভাত। মেট্রো সিটিতে চেনা শব্দ ‘হুকআপ’। অচেনা মানুষের সঙ্গে দায়হীন যৌন সংসর্গ। কিন্তু পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে যৌনতা নিয়ে রয়েছে নানাবিধ অদ্ভুত রীতি। সেগুলো নিয়ে বরং গল্প শোনা যাক।
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ মার্কেসাস আইল্যান্ড। এই দ্বীপে বসবাসকারী বাসিন্দারা পলিনেশিয়ান। এঁদের একটি যৌনরীতি বেশ চমকে দেওয়ার মতো। এখানের দম্পতিরা তাঁদের সন্তানের সামনেই করেন, যৌন সঙ্গম। না মশাই বয়সে ছোট বা অবুঝ শিশুর সামনে নয়। কিশোর কিশোরী সন্তানদের জীবনরহস্য এবং যৌনতার পাঠ দেওয়ার জন্য সঙ্গম নিয়ে তাঁরা বিশেষ লুকাছুপি করেন না। যৌনতা নিয়ে যাতে কোনও ছুঁতমার্গ তৈরি না হয় সে কারণেই এই রীতি চলে আসছে কয়েক শতাব্দী ধরে।
প্রশান্ত মহাসাগরে আরও একটি বৃহৎ দ্বীপমালা ট্রোবায়ান্ড। পাপুয়া নিউগিনির প্রায় সাড়ে চারশ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত এই দ্বীপ। এখানে বসবাসকারী উপজাতির সন্তানরা অত্যন্ত অল্প বয়সে প্রবেশ করে যৌনজীবনে। ছেলেদের জন্য সে বয়স দশ বারো, মেয়েদের জন্য ছয় কি সাত। এই বয়সের বালক বালিকারা নিয়ম করে দল বেঁধে ঘন জঙ্গলের যায়। সেখানেই চলে এদের উদ্দাম যৌনতার পাঠ। এই বয়সেই তারা তাদের মনের মত যৌনসঙ্গী নির্বাচন এবং বদল দুই’ই করতে পারে। এই কাজের জন্য তাদের কোনও শাস্তি বা নিষেধ নেই। কারণ এই উপজাতির কাছে খাওয়া, ঘুমের মতোই, নিয়মিত যৌনতা বাধ্যতামূলক এবং স্বাভাবিক।
আরও শুনুন: পর্নে আসক্ত Osama bin Laden, কুখ্যাত জঙ্গির পর্নের কালেকশন কেমন ছিল জানেন?
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের পনেরোটি দ্বীপ নিয়ে তৈরি কুক আইল্যন্ড। দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ মানগাইয়া। এই দ্বীপের প্রথা অনুসারে, ছেলেদের বয়স তেরো হলেই, তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় গ্রামের বাইরে একটি কুঁড়ে ঘরে। সেখানে তার জন্য থাকে একজন বিবাহিত নারী। সেই নারী তার তাঁকে দেয় যৌন অভিজ্ঞতার প্রথম পাঠ।
এই জনজাতির কাছে এটাই যৌন শিক্ষার ধরন। এখানের ছেলেদের বয়:সন্ধি পেরতে না পেরতেই বিয়ে হয়। একবার যৌনমিলনে কীভাবে একজন নারীকে চূড়ান্ত তুষ্ট করা যায়, সেই শিক্ষা এই দু সপ্তাহ ধরে কিশোরটি অর্জন করে।
আসা যাক আর এক রীতির কথায়। দেখতে অসামান্যা সুন্দরী। পরনে দারুণ রঙিন সব পোশাক। দেখে মনে হবে ইউরোপের জনজাতি। পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত হিন্দুকুশ পর্বতশ্রেণী। সেই হিন্দুকুশ দুর্গম এলাকায় বাস করে এক শ্বেতাঙ্গ জাতি, কালাশ। চোখের মণি নীল। শরীরে বইছে আর্য রক্ত। পাকিস্তানের প্রান্তে বাস হলেও সংস্কৃতি, সমাজব্যবস্থা কিছুর সঙ্গেই পাকিস্তানের মানুষদের কোনও সাযুজ্য নেই।
আরও শুনুন: Sexual Pandemic: এবার কি যৌন অতিমারী গ্রাস করবে বিশ্বকে?
এই জনজাতির ছেলেদের বয়স পনেরো হলেই গ্রীষ্মকালে একদল ভেড়ার পাল নিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় দুর্গম পাহাড়ে। পুরু বরফে ঢাকা পাহাড়ের উপত্যকায় তাদের খুঁজে নিতে হয় জীবন ধারণের উৎস। নিয়ে যাওয়া ভেড়ার দুধ, আর সেই ভেড়ার ঝলসানো মাংস হয় খাদ্য।
বাকিটা শুনে নিন প্লে বাটন ক্লিক করে।