৩-৪ দিনে অ্যাকাউন্টে ‘বাংলার বাড়ি’র টাকা। পাবেন ১২ লক্ষ সুবিধাভোগী। মুড়িগঙ্গার উপর সেতুর নামকরণ মমতার। লোকসভায় পেশ ‘এক দেশ, এক ভোট’। জেপিসি-তে বিল পাঠাচ্ছে মোদি সরকার। শ্লীলতাহানি ইস্যুতে হাই কোর্টে আগাম জামিন, স্বস্তিতে তন্ময়। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পথে ইউনুস। গাব্বায় বুমরাহ-আকাশ দীপের লড়াইকে কুর্নিশ অজি কোচের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন:
16 ডিসেম্বর 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান, মমতার মুখে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান
বিস্তারিত খবর:
1. কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার থেকে আবাসের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু করল রাজ্য সরকার। প্রথম দফায় বাড়ি তৈরির ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। পরের কিস্তিতে আরও ৬০ হাজার, মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এদিন নবান্ন সভাঘরে প্রতীকী হিসেবে ৪২ জন সুবিধাভোগীর হাতে চেক ও স্মারকপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মনে করা হচ্ছে, আগামী ৩-৪ দিনের মধ্য়ে সকলের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যাবে। যোগ্য সুবিধাভোগীদের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার জন্য কড়া হাতে সার্ভে করা হচ্ছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, সমীক্ষা করে ২৮ লক্ষ যোগ্য সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। প্রথম ধাপে এর মধ্য়ে ১২ লক্ষ পরিবারকে টাকা দেওয়া হল। বাকি ১৬ লক্ষ পরিবারকে কেন্দ্র যদি টাকা না দেয় তাহলে রাজ্যই ব্যবস্থা করবে। অনুমান, ২০২৬ সালের আগে সকলকে দুই কিস্তিতে টাকা দেওয়া হবে। এদিকে, মুড়িগঙ্গার উপর সেতুর নামকরণ সারলেন মুখ্যমন্ত্রী। নাম রাখলেন, ‘গঙ্গাসাগর মেলা সেতু।’ এর ফলে মেলায় পৌঁছনো সহজ হবে। আগামী ৪ বছরের মধ্যে শেষ হবে কাজ। মঙ্গলবার একথা জানিয়ে আরও একবার গঙ্গাসাগর মেলার কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়েও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
2. বিরোধীদের আপত্তি উড়িয়ে লোকসভায় এক দেশ-এক ভোট বিল সংসদে পেশ করল মোদি সরকার। প্রত্যাশিতভাবেই কেন্দ্রের পেশ করা বিলের তীব্র বিরোধিতায় সরব ইন্ডিয়া জোট। এক দেশ এক ভোটের বিপক্ষে দীর্ঘদিন বাদে একসুরে কথা বলতে শোনা গেল ইন্ডিয়া জোট শিবিরকে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর দাবি,”এই বিল একই সঙ্গে সংবিধান এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে বললেন, “এক ব্যক্তির স্বার্থরক্ষায় এক দেশ, এক ভোট আইন আনা হয়েছে।” একই সুর অন্যান্য দলনেতাদের গলাতেও। তবে বিরোধীদের একের পর এক যুক্তির পালটা এসেছে সরকার পক্ষের তরফেও। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল বললেন, “নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সংশোধনীর জন্য আইন আনাই যায়। এই আইনে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সরলীকরণ হবে। বারবার নির্বাচনে সময় ও খরচ দুটোই বাঁচবে।” ডিভিশন ভোটে জিতে এক দেশ এক ভোট বিল লোকসভায় পেশ করল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। অর্থাৎ প্রাথমিক লড়াইয়ে জয় কেন্দ্রের। কিন্তু বিরোধীরা নিশ্চিত, বিল পেশ হলেও পাশ হবে না। কারণ এই ধরনের সংবিধান সংশোধনী পাশ করাতে হলে লোকসভা এবং রাজ্যসভা দুই কক্ষেই দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হয়, যা কেন্দ্রের হাতে নেই।
বাদানুবাদের পর অবশ্য কেন্দ্র বিলটি পাশ করানোর চেষ্টা করেনি। পাঠানো হচ্ছে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই চেয়েছেন বিলটিকে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠাতে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।