হাসিনাহীন বাংলাদেশে সক্রিয় খালেদা জিয়া। ৭ বছর পর অংশ নেবেন প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে। কাঁথি সমবায় নির্বাচনে জয়জয়কার তৃণমূলের। কেজরিকে ফের মসনদে ফেরানোর হুংকার, বিজেপিকে টেক্কা দিয়ে ৭০ আসনেই চূড়ান্ত প্রার্থীতালিকা প্রকাশ আপের। হেড-স্মিথের দাপটে রানের পাহাড়ে অস্ট্রেলিয়া। গাব্বার বোলিং ব্যর্থতায় একা কুম্ভ বুমরাহ। তবু শিকার বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের, ফিরল ‘মাঙ্কিগেট’ স্মৃতি।
হেডলাইন:
আরও শুনুন:
বিস্তারিত খবর:
1. হাসিনাহীন বাংলাদেশে সক্রিয় খালেদা জিয়া। মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ঘিরে জনসমক্ষে আসতে চলেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। বিএনপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, দীর্ঘ ৭ বছর পর নেত্রী খালেদা জিয়া প্রকাশ্য কোনও সমাবেশে অংশ নেবেন। জানা গিয়েছে, আগামী ২১ ডিসেম্বর ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মুক্তিযোদ্ধা দিবসের আয়োজন করা হচ্ছে। আর সেই সমাবেশে খালেদা জিয়াকে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। তাঁর দাবি, বিএনপি চেয়ারপার্সন সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। ২১ তারিখের সমাবেশে শুধু জিয়াই নন, লন্ডন থেকে ভারচুয়ালি উপস্থিত থাকবেন জিয়াপুত্র তারেক রহমান।
গত ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শেষবার দলের এক সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দু বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন জিয়া। তবে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি এবং দেশত্যাগ জিয়ার রাজনীতির মূল স্রোতে ফেরার পথ প্রশস্ত করেছে। বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়া এবং বিএনপি-র সক্রিয়তা বাড়ছে। এবার মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে তিনি কী বক্তব্য রাখেন, সেদিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।
2. কাঁথি সমবায় নির্বাচনে সবুজঝড়। শুভেন্দু গড়ে রীতিমতো ধরাশায়ী বিজেপি। ঘাসফুলের দখলে ১০০-রও বেশি আসন। এতদিন কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের ক্ষমতায় ছিলেন শুভেন্দু অনুগামীরাই। তাঁদের হাত থেকে এবার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়াই লক্ষ্য ছিল তৃণমূলের। সম্প্রতি কোলাঘাটে পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংগঠনিক জেলার নেতাদের নিয়ে এই বিষয়ে বৈঠক হয়। সেখানে একাধিক রণকৌশল ঠিক করা হয়। রবিবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় শুরু হয় ভোটগ্রহণ। বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনাও প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু ভোটের ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই দেখা গেল, শুভেন্দুর গড়েই কার্যত নিশ্চিহ্ন পদ্মশিবির। ১০৮ টি আসনের মধ্যে মাত্র ৭ টি আসনে জিতেছেন বিজেপি সমর্থিত প্রার্থী। বাকি ১০১ টি আসনেই জিতেছেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থী। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় ভোট হওয়া সত্ত্বেও কাঁথি সমবায় সমিতি নিজের দখলে রাখতে পারলেন না শুভেন্দু। ফলাফল স্পষ্ট হতেই অকাল হোলিতে মাতলেন ঘাসফুল শিবিরের নেতা-কর্মীরা। তবে এই জয় দল অর্থাৎ তৃণমূলে অখিল গিরির গুরুত্ব আরও বাড়াবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।