অ্যানিম্যালের পর পুষ্পা ২। টক্সিক ম্যাসকুলিনিটি নিয়ে দুই ছবিই বিতর্কের মুখে। পৌরুষের বিষাক্ত আস্ফালন কেবল দেখানো হয়েছে তাই নয়, তা রীতিমতো উদযাপন করা হয়েছে ছবিতে, এই অভিযোগ উঠেছে দুই সিনেমার বিরুদ্ধেই। আর সেই সমালোচনারই এবার জবাব এল নায়িকার কাছ থেকে।
একা অ্যানিম্যালে রক্ষা নেই, দোসর পুষ্পা ২। রশ্মিকা মন্দানা হয়তো মনে মনে এ কথাই বলবেন। তাঁর ঝুলিতে এই দুই ছবি যেমন ব্লকবাস্টারের শিরোপা নিয়ে ঢুকে পড়েছে, তেমনই আবার এই দুই ছবি নিয়েই বিতর্কেরও শেষ নেই। বিশেষ করে, টক্সিক ম্যাসকুলিনিটি নিয়ে দুই ছবিই বিতর্কের মুখে। পৌরুষের বিষাক্ত আস্ফালন কেবল দেখানো হয়েছে তাই নয়, তা রীতিমতো উদযাপন করা হয়েছে ছবিতে, এই অভিযোগ উঠেছে দুই সিনেমার বিরুদ্ধেই। আর সেই সমালোচনারই এবার জবাব এল নায়িকার কাছ থেকে।
আরও শুনুন:
বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে ‘পুষ্পা ২’! হিন্দু আবেগে সন্তর্পণে ঢেউ তুলেই এল দারুণ সাফল্য?
‘অ্যানিম্যাল’ মুক্তি পাওয়ার আগেই এ ছবিকে ‘অ্যাডাল্ট’ সার্টিফিকেট দিয়েছিল সেন্সর বোর্ড, একইসঙ্গে কাঁচি চালিয়েছিল রণবীর-রশ্মিকার ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে। তারপরেও যৌনতা থেকে হিংসা, সবকিছুই ভরপুর দেখা গিয়েছে এ ছবিতে। অ্যানিম্যাল একদিকে যেমন খলনায়ককে বৈবাহিক ধর্ষণ করতে দেখিয়েছে, অন্যদিকে নায়কের অবাধ যৌনাচারকেও প্রশ্রয় দিয়েছে। আলফা মেল-এর হুংকারে নারীবিদ্বেষের দিকটিও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বারবার। এরপর ‘পুষ্পা’-তেও দেখা গিয়েছে, সমাজের চোখে যাকে ‘খারাপ লোক’ বলতে হয়, প্রায় তেমনই এক যুবক এ ছবির নায়ক। সেখানেও আলফা মেল-এর কার্যকলাপে উগ্র পৌরুষের জয়জয়কার। আর এই দুই আলফা মেল-এর উলটো দিকেই, তাদের সঙ্গিনীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রশ্মিকা।
‘অ্যানিম্যাল’-এর গীতাঞ্জলি এবং ‘পুষ্পা’-র শ্রীবল্লী অবশ্য জানাচ্ছেন, এই ছবিতে কাজ করতে কোনও সমস্যা হয়নি তাঁর। কেন-না তিনি মনে করেন, মানুষের মধ্যে ভালো খারাপ দুরকম চারিত্র্যই থাকে। ফলে ছবির চরিত্রেও তার ছাপ পড়ারই কথা। গল্পটা যখন লেখা হচ্ছে, তখন তা পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লেখা হচ্ছে না মহিলার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে, তার উপর ভিত্তি করে গল্প বদলে যায়। পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লেখা হলে সে গল্প পুরুষপ্রধান হয়ে ওঠে। এই প্রসঙ্গে নিজের মায়ের কথাও তুলেছেন রশ্মিকা। তাঁর মা বলেন, ইগো বা অহংকার সব মানুষেরই থাকে। কেবল তা ভালো না খারাপ, তা-ই একজন মানুষকে অন্যজনের থেকে আলাদা করে। সুতরাং যে টক্সিসিটি নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে, তাকে নিছক চরিত্রের বৈশিষ্ট্য বলেই সরিয়ে রাখতে চান রশ্মিকা।
কথা হল, সমাজে যেমন এ সবকিছুই আছে, তেমনই ছবিতেও তা থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সেই থাকাকে কোথাও গিয়ে মান্যতা দিয়ে ফেলা হচ্ছে কি না, প্রশ্ন সেখানেই। রশ্মিকারা যাই বলুন না কেন, সেই প্রশ্নেই অ্যানিম্যাল বা পুষ্পা নিয়ে থামছে না তরজা।