খাবারের প্যাকেটের গায়ে লেখা আছে মেয়াদ শেষ হবার তারিখ। তবে সব খাবারের জন্যেই কি এই নিয়ম খাটে! এক্সপায়ারি ডেট পেরিয়েছে, তবু কিন্তু খাওয়াই যায় কিছু খাবার। আসুন শুনে নিই, কী কী রয়েছে সেই তালিকায়?
খাবারদাবার হোক, কিংবা ওষুধ-পথ্যি, কেনার সময় একটা জিনিসের দিকে সতর্ক দৃষ্টি থাকে সব্বার। আর তা হল প্যাকেটের গায়ে লেখা সেই জিনিসটির মেয়াদ শেষ হবার তারিখ। মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেই সেই খাবার শেষ হোক বা না হোক, তাকে ঠেলে দেওয়া হয় ডাস্টবিনে। কারণ মনের ভিতর লুকিয়ে আছে চোরা ভয়। এ খাবার খেলেই হতে পারে বিপদ।
কিন্তু সবসময় কি এ কথা খাটে? গবেষণায় উঠে আসছে নয়া তথ্য। ব্যবসায় সর্বাধিক সুরক্ষার তাগিদে ব্যবসায়ীরা তাঁদের পণ্যে এক্সপায়ারি ডেট বসান। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমনও কিছু খাবার রয়েছে যা নিশ্চিন্তে খাওয়া চলে এক্সপায়ারি ডেট শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও।
আরও শুনুন: চিপস-ড্রিংকসে মজে দেশ, অথচ কম গুণমানেই খাবার বিক্রি তাবড় সংস্থার! রিপোর্ট বলছে…
কী কী রয়েছে সেই খাবারের তালিকায়?
শুরুতেই বলি, এই খাদ্যতালিকায় আছে মধু, চিনি এবং লবণের মতো কয়েকটি জিনিস। একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার কথা এসব খাবারের প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে বটে, কিন্তু তা কখনও শেষ কথা নয়। মেয়াদ ফুরালেও নষ্ট হয় না এ সমস্ত জিনিসগুলি। আরও আছে। এই তালিকায় রয়েছে বাদাম, পাস্তা। বিভিন্ন রকম প্যাকেটজাত দ্রব্য- যেমন মাখন, চিজ, বিস্কুট ইত্যাদি খাবারগুলিও খাওয়া চলে তারিখ শেষের পরেও। এখানেই শেষ নয়। খাওয়া চলে ডিম, দুধ, ফ্রিজে রাখা দইও। শুধু তা নয়, এ তালিকায় আছে ফ্রোজেন ফলমূল, শাকসবজি, এমনকি পাউরুটি, কেক, বোয়ামে আচার, চকোলেট, বিভিন্ন দানাশস্য ইত্যাদি।
তবে হ্যাঁ। মেয়াদ শেষ হওয়া খাবার খাওয়া যাবে মানে কিন্তু কখনোই তা বছরের পর বছর ধরে নয়। পাউরুটি, ডিম, দইয়ের ক্ষেত্রে মেয়াদ ফুরোনোর পর বড়জোর এক সপ্তাহ রাখতে পারেন, তার মধ্যেই কিন্তু খেয়ে নিতে হবে। তারিখ ফুরিয়ে যাওয়া দুধ খাওয়ার সময় উচ্চ তাপে ফুটিয়ে তবেই খান। ডিমের ক্ষেত্রেও মানতে হবে এমনই সতর্কতা। ডিমের পোচ বা হাফ বয়েল নয়, সুসিদ্ধ করে তবেই খাওয়া উচিত। কেকজাতীয় খাবারগুলি শক্ত এয়ারটাইট কৌটোতে ভরে রাখতে হবে। চিজ-মাখনের প্যাকেট খুলে ফেলার পর অবশ্যই নজর রাখতে হবে, তা যাতে ছ-মাসের মধ্যেই শেষ হয়।
তবে হ্যাঁ, মেয়াদ-ফুরোনো খাবারগুলি খাওয়ার সময় একটু সচেতন হতে হবে। দেখতে হবে যে খাবারে ছত্রাক বা কোনও অবাঞ্ছিত গন্ধ বাসা বেঁধেছে কি না। কারণ খাবারের প্যাকেট খুলে ফেলার পর বাতাসের সংস্পর্শে খাবার নষ্ট হবার সম্ভাবনা বাড়ে বই কমে না। আর হ্যাঁ, মাথায় রাখুন, এক্সপায়ারি ডেট না পেরনো খাবারেও কিন্তু বসতে পারে ছত্রাকের থাবা। তাই কী খাচ্ছেন, তা চেখে নেওয়ার আগে একবার ভালো করে দেখেও নিন।