মনের মতো পাত্র কিংবা পাত্রী পেতে নিশ্চিন্তে ভরসা করছেন বিভিন্ন অনলাইন ঘটকালি সংস্থায়। একটু দাঁড়ান। এই সুযোগে লক্ষ লক্ষ টাকা লুঠ হতে পারে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে। কেন, জানেন কি? আসুন শুনে নিই।
খাবার হোক বা জামা কাপড়, অনলাইনে সবকিছু অর্ডার দেওয়া যায়। জীবনসঙ্গী আর এমন কি ব্যাপার! একটু খোঁজ করলেই মিলবে পছন্দের পাত্র-পাত্রী। কিন্তু এতই কি সহজ সবকিছু? অনলাইনে সম্বন্ধ খোঁজা আদৌ নিরাপদ তো? সম্পর্কের প্রসঙ্গ বাদ রাখলেও, বিষয়টা এড়ানো যায় না। কারণ এখানেই লুকিয়ে রয়েছে নয়া জালিয়াতির বীজ।
কিন্তু জীবনসঙ্গী খুঁজতে গিয়ে কীভাবে জালিয়াতির শিকার হবেন কেউ?
আসলে, বিয়ে নিয়ে নানান রসিকতা, কৌতূহল এবং উত্তেজনার শেষ নেই। শেষ নেই হাজার উপমারও। এই যেমন, বিয়ের পরে ছেলের পর হয়ে যাওয়া কিম্বা বউয়ের আঁচলে মুখ লুকানো। কিন্তু এই সমস্ত ছাড়িয়ে যদি বরটিকে একেবারে পথে বসিয়ে চম্পট দেয় তাঁর স্ত্রী! কী ভাবছেন, পুরনো প্রেমিকের সঙ্গে চম্পট দিয়েছে নতুন বউ? একেবারেই না। তাহলে কি ঝগড়া বিবাদ অশান্তির কারণে, তেমনটাও নয়। একেবারে আইনের সাহায্য নিয়েই নতুন বরকে ফেলে রেখে যেতে পারেন পাত্রী। সঙ্গে অবশ্য মোটা টাকাও নিয়ে যাবেন। বিশ্বাস হচ্ছে না নিশ্চয়ই? তাহলে খুলেই বলা যাক।
নতুন এই প্রতারণার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছে কয়েকটি অসাধু চক্র। ভালো মানুষের সরল মনের সুযোগ নিতে তাঁরা হাতিয়ার করেছে ঘটকালি বিষয়টাকে। মনের মানুষের খোঁজে আসা ব্যক্তির পছন্দ-অপছন্দগুলো জেনে নিয়ে তাঁকে সঙ্গীকে খুঁজে দেয় এইসব সংস্থা। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই টার্গেট পুরুষরা। আগে থেকেই তৈরি থাকে বিভিন্ন রুচির, বিভিন্ন বয়সের মহিলারা। তারাও সেই ব্যক্তির মন মানসিকতা বুঝে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে সম্পর্কটিকে এগিয়ে নিয়ে যান ছাদনাতলা অবধি। কিছুদিন নির্বিঘ্নে সংসারও করে। আর তার পরেই ঘটে বিপত্তি। মহিলা কোর্টে গিয়ে অকারণেই বরের নামে মামলা ঠুকে বসেন। কিংবা ছলে,বলে কৌশলে নানান হুমকি দিয়ে আদায় করেন মোটা অঙ্কের টাকা। জানা গিয়েছে এই প্রতারণায় পা দিয়ে প্রায় পঁয়ত্রিশ লক্ষেরও বেশি টাকা হারিয়েছেন কেউ কেউ। আর টাকাটি হাতে আসার পর সে টাকার অংশ চলে আসে ওই ঘটকালি সংস্থার কাছে। লাভের কিছু অংশ পান ওই মহিলাও। মাঝখান থেকে একূল-ওকূল দুকূল হারিয়ে বসেন অসহায় পুরুষ।সম্প্রতি এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে চিনের বিভিন্ন শহরে। পুলিশের কাছেও পৌঁছেছে একাধিক অভিযোগ।
তবে ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতেও যে বিচ্ছিন্নভাবে এমন ঘটনা ঘটছে না, তা কিন্তু নিশ্চিত করে বলা যায় না। কিন্তু প্রশাসনিক তরফ থেকে বারবার জানানো হয়েছে কড়া সতর্কবার্তা। তাই সময় থাকতে সাবধানতা অবলম্বন করাই শ্রেয়।