ওপার বাংলায় হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদ। বাংলাদেশিদের চিকিৎসা বন্ধের সিদ্ধান্ত কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালের। বিরোধিতায় সরব ফিরহাদ হাকিম। ডায়মন্ড হারবারে শুরু ‘ডক্টরস সামিট’। ৭৫ দিন ধরে ৭ বিধানসভায় চলবে ২৮০০ স্বাস্থ্যশিবির। বাংলাদেশে তেরঙা অপমানের তীব্র প্রতিবাদ এপার বাংলায়। ‘বাংলাদেশের হিন্দুদের বাঁচান’, কেন্দ্রের কাছে আর্জি আরএসএসের। ফেনজল আতঙ্কে কাঁপছে তামিলনাড়ু।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 28 নভেম্বর 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের তীব্র নিন্দা, কেন্দ্রের পাশেই মমতা
বিস্তারিত খবর:
1. ওপার বাংলায় হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে সরব এপার বাংলা। এবার বাংলাদেশিদের চিকিৎসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতাল। তবে এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করেননি কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর প্রশ্ন,”বাংলাদেশের কোনও মানুষ অসুস্থ হলে তাকে সুস্থ করব না?”
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার, ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননায় ফুঁসে উঠেছে বাংলা। সম্প্রতি প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ইন্দ্রনীল সাহা সোশাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, ‘বিইউইটি-র প্রবেশপথে ভারতীয় জাতীয় পতাকা বিছিয়ে রাখা! চেম্বারে বাংলাদেশের রোগী দেখা আপাতত বন্ধ রাখছি।’ তাঁর দাবি, আগে দেশ, পরে রোজগার। তিনি আরও লেখেন, দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক না হওয়া অবধি অন্যরাও তাই করবেন। এর পরই মানিকতলার জেএন রায় হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা না করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে তা সমর্থন করেননি মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এ প্রসঙ্গে চিকিৎসকদের ধর্ম মনে করিয়ে ফিরহাদ বলেন, “চিকিৎসক বা চিকিৎসা কেন্দ্রের ধর্ম রোগীকে সুস্থ করা।” তিনি আরও বলেন, কেন্দ্র সরকার যদি ভিসা দেয় তাহলে বাংলাদেশের মানুষও চিকিৎসা করাতে পারবেন।
2. ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ কে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া লক্ষ্য। নয়া কর্মসূচির সূচনা করলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জনতার স্বাস্থ্য পরিষেবায় তাঁর সংযোজন, ‘সেবাশ্রয়’ কর্মসূচি। যার আওতায় আগামী ৭৫ দিন ধরে ডায়মন্ড হারবারের ৭ বিধানসভা এলাকায় চলবে ২৮০০ স্বাস্থ্যশিবির। সেখানে বিনামূল্যে চিকিৎসা করানোর পাশাপাশি একাধিক পরীক্ষাও করাতে পারবেন এলাকাবাসী। ১০০০ চিকিৎসক, ১৫০০ স্বেচ্ছাসেবক এর দায়িত্ব নিয়েছেন। প্রত্যেক বিধানসভায় এলাকায় অন্তত ৪০ টি ক্যাম্প হবে। জানা গিয়েছে, ১২ টি হাসপাতাল এই কর্মযজ্ঞে অংশ নিতে আগ্রহী। শনিবার আমতলায় ‘ডক্টরস কনভেনশন’ অনুষ্ঠানে এই নতুন কর্মসূচিকে ‘কর্মযজ্ঞ’ বলে উল্লেখ করেন খোদ অভিষেকই। এ প্রসঙ্গে বলেন, টিম ওয়ার্কে বিশ্বাসী তিনি। সবাই মিলেই কাজ করলে সাফল্য বাঁধা। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে সমাবেশে যোগ দেন প্রায় ১৩০০ চিকিৎসক। বিভিন্ন জেলা থেকে তাঁরা এসেছিলেন। আমতলা স্টেডিয়ামে তাঁদের সামনে রেখে রোগী ও চিকিৎসকদের মধ্যে সেতুবন্ধনে প্রয়াসী হলেন অভিষেক।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।