ভাইফোঁটায় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে নেতা মন্ত্রীদের ভিড়। ফোঁটা নিলেন শোভন-রাজীব, ছিলেন ফিরহাদও। জোনাল কমিটি ফেরানো হোক সিপিএমে। দলের নিষ্ক্রিয়তা কাটাতে একাধিক জেলায় উঠল দাবি।নভেম্বরের শুরুতে নামবে তাপমাত্রা। যোগী আদিত্যনাথকে খুনের হুমকি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। শেষ টেস্টেও ভরাডুবি, ঘরের মাঠে মুখ পুড়ল ভারতের। ক্ষুব্ধ শচীন-কুম্বলে।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. প্রতিবারের ন্যায় মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হল ভাইফোঁটা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী ও তৃণমূলের নেতারা। সেখানেই বান্ধবী বৈশাখীকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেও খাতায় কলমে কোনও দলে যোগ দেননি শোভন। এদিন এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শোভন জানান, সক্রিয় হলে নিজেই জানাবেন। এদিনের ভাইফোঁটায় ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এক সময়ে বিজেপিতে গিয়েও ফের ঘর ওয়াপসি হয়েছে তাঁর। তৃণমূল ত্যাগ ভুল ছিল বলেই এদিন মন্তব্য করলেন তিনি। প্রতিবারের মতো এবার ফোঁটা নিলেন ফিরহাদ হাকিম-সহ অন্যান্যরা। একইসঙ্গে অভিমান ভুলে ভাই কাননকেও এদিন আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মমতা। অন্যদিকে, ভাইফোঁটায় ঘরের বাইরে দেখা গেল না দিলীপ ঘোষকে। তাঁর কথায়,”বাংলার যা পরিস্থিতি তাতে কোনও বোনকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিতে পারব না। তাই ফোঁটা নিতে বের হইনি।” প্রতিবছর নিয়ম মেনে দলের মহিলা সদস্যদের কাছে ভাইফোঁটা নিতেন প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষকে। কিন্তু এবছর তা হল না। এ ব্যাপারে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তবে এই ইস্যুতেও দিলীপকে বিঁধেছে তৃণমূল।
2. জোনাল কমিটি ফেরানো হোক সিপিএমে। দাবি উঠল একাধিক জেলায়। বছর পাঁচেক আগে প্লেনামের মাধ্যমে সাংগঠনিক রদবদল হয়েছিল সিপিএমে। তাতে অবলুপ্তি ঘটেছিল আঞ্চলিক কমিটির। পরবর্তী সময়ে ইউনিট কমিটি, এরিয়া কমিটির পরই সরাসরি জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে। দলে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে তারুণ্যকে। কিন্তু তার পরও ভোটব্যাঙ্ক ফেরেনি। নেপথ্যের কারণ হিসেবে দলের একাংশের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করছেন অনেকে। এবং তা কাটাতে একাধিক জেলা কমিটির প্রস্তাব, ফিরিয়ে আনা হোক জোনাল কমিটি। মূলত গ্রামীণ রাজনীতি, সংগঠনের কথা ভেবেই এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাও হয়েছে আলিমুদ্দিনের অন্দরে। কিন্তু সিপিএমের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, দাবি উঠলেই তাতে সিলমোহর দিয়ে কার্যকর করা যায় না। সর্বোচ্চ কমিটি তা অনুমোদন করলে তবেই সম্ভব। সেক্ষেত্রে কোনও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে ভোটাভুটিও হতে পারে। আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে তামিলনাড়ুতে পার্টি কংগ্রেস। সেখানে এই প্রস্তাব তুলে ধরা হবে। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, জোনাল কমিটি ফিরবে কিনা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।