অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন মহিলা। তবে পরিবার বা স্বামী নয়, তার জন্য দোষের ভার চাপল খোদ সরকারের কাঁধে। এমনকি সরকারের উপরেই দায় বর্তেছে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও। কিন্তু কেন? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
এক মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন, আর তার ঠেলা সামলাচ্ছে নাকি খোদ সরকার! উপরন্তু তাঁর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার দায়ে ক্ষতিপূরণের বোঝা চাপল সরকারেরই কাঁধে। ব্যাপারটা ঠিক কী? আসুন, তাহলে বরং খুলেই বলা যাক।
স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা মানে তার দায় ও দায়িত্ব স্বামীর, এমনটাই তো মনে করার কথা। যদি না সেই গর্ভধারণের নেপথ্যে কোনও অবাঞ্ছিত ঘটনা থাকে। তবে এক্ষেত্রে তেমন কিছুই ঘটেনি। স্বাভাবিক মিলনের সূত্রেই মহিলার গর্ভে এসেছে সন্তান। কিন্তু তাতেই বেজায় চটেছেন মহিলা ও তাঁর পরিবার। আর সেই রাগের জেরেই অপ্রস্তুত সরকার। কেন-না, এই কাণ্ডের দৌলতে আসলে আঙুল উঠে গিয়েছে সরকারের চিকিৎসাব্যবস্থার দিকে। বা বলা ভালো, চিকিৎসাব্যবস্থার গাফিলতির দিকে।
আসলে, ২০২১ সালেই স্টেরিলাইজেশন, অর্থাৎ বন্ধ্যাত্বকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যান ওই মহিলা। তিনি জানিয়েছেন, বাজারদর যে হারে বাড়ছে, তাতে আরও সন্তান মানুষ করা সম্ভব নয় তাঁর পক্ষে। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত। মীনা দেবী নামে ওই মহিলা বিহারের বাসিন্দা। সেখানকারই ডুমরা কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে এই অপারেশন হয়েছিল। কিন্তু, বন্ধ্যাত্বকরণের প্রক্রিয়া সেরেছিলেন বটে, তবে তাতে কাজ হল কই! দেখা গেল, এরপরেও ফের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন মহিলা। তাঁর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া প্রমাণ করছে, আসলে গোলমাল ছিল প্রক্রিয়াটিতেই। সে কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অধিকর্তাও। তিনি জানিয়েছেন, এই প্রক্রিয়ায় দুটি ডিম্বনালিই বন্ধ করার কথা। কিন্তু এখানে হয়তো একটি খোলা ছিল, আর তার জেরেই এহেন অনভিপ্রেত কাণ্ড।
যেহেতু সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের গাফিলতি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, ফলে এই ঘটনায় ক্ষতিপূরণের বোঝা চাপল সরকারেরই কাঁধে। জানা গিয়েছে, ওই মহিলাকে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে বিহার সরকার।