২৪ ঘণ্টার মধ্যে জোড়াবাগান হত্যার কিনারা পুলিশের। মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাক করে আটক নাবালক সন্তান। রাজ্যের পাঁচ মেডিক্যাল কলেজে শুরু ‘সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম’। যুক্ত করা হচ্ছে জেলা ও ব্লক হাসপাতালগুলিকেও। উধাও বাংলা বিভাগের এমএ পরীক্ষার ১২০টি উত্তরপত্র। প্রশ্নের মুখে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। মুম্বই টেস্টে ঘূর্ণি জাদেজা-সুন্দরের, ২৩৫-এ বন্দি কিউয়িরা। তবে বোলারদের দাপটের দিনে ব্যর্থ রোহিত-বিরাট, দিনের শেষে ৪ উইকেট খোয়াল ভারত। দিয়ামান্তোকোসের জোড়া গোলে দীপাবলির আলো ইস্টবেঙ্গলে।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 31 অক্টোবর 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- বাড়িতে কালীপুজোর আয়োজন মুখ্যমন্ত্রীর, আলোর উৎসব বাংলাজুড়ে
বিস্তারিত খবর:
1. ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জোড়াবাগানে এলআইসি এজেন্ট ‘পায়রাবাবু’ খুনের কিনারা পুলিশের। ঘটনায় আটক এক নাবালক। মৃত অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মায়ের ‘পরকীয়া’র সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরেই খুনের পরিকল্পনা, দাবি নাবালকের।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ‘পায়রাবাবু’ ওরফে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এলআইসি-র কাজের সূত্রে আলাপ হয় নদিয়ার চাপড়ার বাসিন্দা এক মহিলার। ক্রমে তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এজেন্ট। তা নিয়ে প্রথমে আপত্তি, পরে হুমকি দিয়েছিল মহিলার নাবালক ছেলে। সেইমতোই কালীপুজোর দিনে চাপড়া থেকে কলকাতায় এসে, অভিজিৎবাবুর বাড়িতে ঢুকে তাঁর উপর হামলা চালায় ওই নাবালক। মৃতের মাথায় ও শরীরে ১১ বার ছুরির কোপ মারা হয়। খুনের পর মৃতের হার, আংটি ও মোবাইল নিয়ে পালায় নাবালক। কিন্তু নদিয়ায় ফিরে নাবালক মোবাইল অন করার সঙ্গে সঙ্গে টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ তার অবস্থান জানতে পারে। শুক্রবার চাপড়া থেকে তাকে আটক করে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। খুনের ঘটনায় তার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত ছিল কি না, তা জানতে নাবালককে জেরা করছে পুলিশ।
2. নজরে স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ১ নভেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার থেকে রাজ্যের পাঁচ মেডিক্যাল কলেজে শুরু ‘সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম’। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এসএসকেএম, এনআরএস, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে এই ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। বাকি ২৩টি মেডিক্যাল কলেজে আগামী ডিসেম্বর থেকে এই ব্যবস্থা চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, কলকাতার পাঁচ মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে জেলার হাসপাতালগুলোকে যুক্ত করা হয়েছে। অনলাইন রেফারেল সিস্টেমের দৌলতে আউটডোরে বসেই সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসক বুঝে নিতে পারবেন, তাঁর বিভাগে কতগুলি বেড ফাঁকা আছে। আবার জেলা বা ব্লক হাসপাতালগুলি যুক্ত হওয়ায় তারাও বুঝতে পারবে, কোন মেডিক্যাল কলেজ বা হাসপাতালে কত বেড ফাঁকা আছে। সেই বুঝে রোগীদের রেফার করা হবে। এর ফলে হাসপাতালে রেফারের ক্ষেত্রে রোগীর পরিজনদের ক্ষোভ থাকবে না, চিকিৎসকদের উপরেও চাপ কমবে। অক্টোবরেই রাজ্যে শুরু হয়েছিল সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেমের পাইলট প্রজেক্ট। এবার আরও বিস্তৃতভাবে শুরু হল সেই পরিষেবা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।