পিরামিড! মিশরের আশ্চর্য। গোটা বিশ্ব আজও খুঁজে ফেরে এর নির্মাণ রহস্য। কারা বানিয়েছিলেন এমন অদ্ভুত স্তাপত্য? কীভাবে সম্ভব হয়েছিল পাথরের পিরামিড গড়া? সম্প্রতি সেই নিয়েই নয়া গবেষণা সামনে এসেছে। কী জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
পিরামিড নিয়ে রহস্যের অন্ত নেই। এখনও অনেকেই এই অদ্ভুত স্থাপত্য নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। উদ্দেশ্য একটাই, কীভাবে তৈরি হয়েছিল পিরামিড তার সঠিক কারণ খুঁজে বার করা। এর আগে এই নিয়ে নানা তত্ত্ব সামনে এসেছে। কেউ কেউ দাবি করেছেন এমনটা মানুষের কাজ হতেই পারে না। তাহলে কী ভিনগ্রহীরা পিরামিড গড়েছিল? সাম্প্রতিক গবেষণা অবশ্য সেদিকে ইঙ্গিত করছে না।
মিশরের পিরামিড দেখতে প্রতিদিন বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ ছুটে যান। তার প্রতীকী আরও অনেক জায়গায় রয়েছে। তবে আসল পিরামিডের সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। কিন্তু এর আকার দেখে সন্দেহ হতেই পারে যে এমনটা কোনও মানুষের কাজ। তাও আবার আজ থেকে এত এত বছর আগে! আজকের দিনে দাঁড়িয়ে প্রযুক্তি যে জায়গায় পৌঁছেছে তাতেও এমন জিনিস বানাতে হিমসিম খেতে হবে। সে জায়গায় কোনও প্রযুক্তি ছাড়া এমন পিরামিড বানানো কীভাবে সম্ভব, তার উত্তর খুঁজে ফেরেন সকলেই। সেখানেই উঠে আসে ভিনগ্রহী তত্ত্ব। বাইরের গ্রহ থেকে এসে সম্পূর্ণ অজানা প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে এমনটা গড়া হয়েছিল বলেই মনে করেন অনেকে। কিন্তু তাতেও প্রশ্ন থাকে হাজার। সাম্প্রতিক গবেষণাও সেই ভাবনাকে উড়িয়েছে। বরং বিশেষজ্ঞদের দাবি উন্নতমানের মেশিনের সাহায্যেই তৈরি হয়েছিল পিরামিড। এবং সেই কাজ করেছিলেন একদল রক্তমাংসের মানুষ। কিন্তু কীভাবে?
গবেষকদের দাবি, পিরামিড তৈরি করতে হাইড্রোলিক ইঞ্জিনিয়ারিং কাজে লাগিয়েছিলেন মিশরীয়রা। তখন হয়তো এই পোশাকী নাম তাঁরা জানতেন না। তবে ব্যবহারিক বুদ্ধিটা মোটের উপর এক ছিল। আর তাতেই হয়েছিল ম্যাজিক। আশেপাশের জলাশয় কাজে লাগিয়ে হাইড্রোলিক পাম্প তৈরি করেছিলেন তাঁরা। এবং তা ব্যবহার করে পাথরের চাঁই পর পর বসানো হয়েছিল। আসলে পিরামিড তৈরি নিয়ে মূল প্রশ ছিল এটাই, যে এত উঁচুতে পাথরের বড় টুকরো পৌঁছল কীভাবে? গবেষকদের দাবি, হাইড্রোলিক পাম্প ব্যবহার করলে এমনটা করাই যায়। এক নয়, একাধিক পিরামিড তৈরি হয়েছিল ওইভাবে। মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও এই গবেষণাই চূড়ান্ত এমনটা দাবি করতে নারাজ সকলে। কারণ এই যুক্তির পালটা প্রশ্ন উঠতেই পারে। সেক্ষেত্রে নতুন করে ভাবতে হবে। তবে এই কাজ যে ভিনগ্রহীদের নয়, এ ব্যাপারে নিশ্চিত বলেই মনে করছেন গবেষকরা।