হাসপাতালে নিরাপত্তা সংক্রান্ত দশ দফা নির্দেশিকা জারি নবান্নের। সব হাসপাতালে ‘প্যানিক বাটন’, মহিলা পুলিশকর্মী। বাতিল হল সন্দীপ ঘোষের ডাক্তারির রেজিস্ট্রেশন। বিজ্ঞপ্তি জারি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের। এবার সিবিআই স্ক্যানারে এক তৃণমূল নেতাও। পুজোর মুখে বানভাসি বাংলা। ক্রমাগত জল ছাড়ছে ডিভিসি, ষড়যন্ত্র তোপ মুখ্যমন্ত্রীর। দায়িত্ব নিয়েই থানা পরিদর্শন মনোজ বর্মার। গেলেন আর জি করে। পুজোর নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকের ডাক, থাকবেন পুরসভা-দমকল প্রতিনিধিরাও। অডিও ক্লিপ ভাইরাল কাণ্ডে জামিন মঞ্জুর কলতান দাশগুপ্তের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 17 সেপ্টেম্বর 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- মেলেনি গণধর্ষণের প্রমাণ, ৩ দিনের CBI হেফাজতে সন্দীপ-অভিজিৎ
বিস্তারিত খবর:
1. এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলনের সাফল্য। ডাক্তারদের নিরাপত্তা রক্ষা এবং রাজ্যের হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। দশ দফা নির্দেশিকা দিয়ে স্বাস্থ্যসচিবকে এই সংক্রান্ত নোটিস পাঠানো হয়েছে। সমস্ত হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ‘প্যানিক বাটন’ সিস্টেম চালু করা হচ্ছে। যে কোনও অভিযোগ নিতে অভ্যন্তরীণ কমিটি এবং অন্য কমিটিগুলিকে কার্যকরী রাখতে হবে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তায় যাতে কোনওভাবেই কোনও খামতি না থাকে, তা নিশ্চিত করতে তৎপর রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয়ভাবে একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করতে বলা হয়েছে। প্রতিটি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই হেল্পলাইন নম্বর দ্রুত চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে। তিনি সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিরাপত্তার নিয়ে অডিটের বিষয়টি দেখভাল করবেন।
এছাড়া প্রতিটি হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তারদের জন্য পৃথক বিশ্রামকক্ষ ও শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা হবে। হাসপাতালে পানীয় জলের বন্দোবস্ত যাতে ঠিকঠাক থাকে, সে দিকেও নজর রাখতে হবে। সরকারি হাসপাতালগুলিতে কতগুলি শয্যা ফাঁকা রয়েছে, সেই সংক্রান্ত প্রতি মুহূর্তের তথ্য কেন্দ্রীয়ভাবে রাখার বন্দোবস্ত করতে হবে। সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য প্রতিটি হাসপাতালে এই সংক্রান্ত একটি ডিসপ্লে বোর্ড রাখতে হবে। কোনও রোগীকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করার ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয়ভাবে একটি ‘রেফারেল সিস্টেম’ দ্রুত চালু করার কথা বলা হয়েছে। রাজ্য সরকার নিরাপত্তার যথাযথ ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তার প্রেক্ষিতেই এবার পদক্ষেপ করল নবান্ন।
2. আর ডাক্তার নন আর জি করের অপসারিত অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁর ডাক্তারির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। এমনিতেই সিবিআইয়ের হাতে দুর্নীতি ও খুন-ধর্ষণের জোড়া মামলায় ধৃত সন্দীপ ঘোষ। বর্তমানে সিবিআই হেফাজতেই রয়েছেন সন্দীপ। তার উপর রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই চাপে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। তবে জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত যদি ক্লিনচিট পেয়ে যান, সেক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন ফিরিয়ে দেওয়াই নিয়ম।
এদিকে আর জি কর কাণ্ডে এবার সিবিআই স্ক্যানারে এক তৃণমূল নেতাও। হাসপাতালের হাউস স্টাফ তথা টিএমসিপি ইউনিটের সভাপতি আশিস পাণ্ডে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার দিন সল্টলেকের একটি গেস্ট হাউসে উঠেছিলেন। প্রাথমিক তদন্তের পর সিবিআই-এর সন্দেহ, ঘটনায় জড়িতা থাকতে পারেন ওই ব্যক্তি। ইতিমধ্যেই ওই হোটেল থেকে নথি জমা পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।