জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনামঞ্চে হাজির মমতা। মুখ্যমন্ত্রী নন, দিদি হিসেবেই আন্দোলনকারীদের পাশে। মমতার ডাকে সাড়া দিয়ে কালীঘাটে চিকিৎসকরা। ভেঙে দেওয়া হল সব হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি। ডাক্তার-নার্স-পুলিশ নিয়ে নয়া কমিটি গঠন, ডাক্তারদের ধরনামঞ্চ থেকেই ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। ধরনায় হামলা নিয়ে অডিও ক্লিপের সূত্রে গ্রেপ্তার কলতান। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ DYFI নেতার। অডিও ক্লিপ সত্য, জানাল বিধাননগর পুলিশ।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনামঞ্চে গিয়ে হাজির খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর সুবিচারের দাবি তুলে ধরনা-আন্দোলন শুরু করেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নানা দুর্নীতির বিরুদ্ধেও ছিল তাঁদের আন্দোলন। একদিকে লালবাজারে পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁরা অভিযান চালিয়েছিলেন। চেয়েছিলেন পুলিশ কমিশনারের অপসারণ। অন্যদিকে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে দুর্নীতি রুখতে চেয়েছিলেন স্বাস্থ্যসচিব এবং দুই স্বাস্থ্যকর্তার অপসারণ। প্রশাসনের কাছে এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট দাবিও পেশ করেছিলেন তাঁরা। তবে এর আগে একাধিকবার বৈঠকের আয়োজন করেও শেষ পর্যন্ত তা ভেস্তে গিয়েছে। লাইভ স্ট্রিমিং না হওয়ার কারণে নবান্নে পৌঁছেও মুখ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি হননি আন্দোলনকারীরা। মনে করা হচ্ছিল, প্রশাসন ও আন্দোলনকারী দুই পক্ষই অনড়। তবে, আচমকাই ঘটনায় পটপরিবর্তন। শনিবার স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলনকারীদের ধরনামঞ্চে পৌঁছে যান মমতা। সাফ জানান, তিনি আন্দোলনকারীদের কুর্নিশ জানাচ্ছেন। একইসঙ্গে জানিয়ে দেন, প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে নন, দিদি হিসাবেই তিনি আন্দোলনকারীদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর ঘোষণা, আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে না রাজ্য। তিনি অনুরোধ করেন, আন্দোলনকারীরা যেন নিজেদের মধ্যে কথা বলে আলোচনায় বসেন। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েই এদিন সন্ধেয় কালীঘাটে মমতার বাসভবনে পৌঁছে যান আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দল। উপস্থিত হন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও। তবে লাইভ স্ট্রিমিং অথবা নিজেদের ভিডিওগ্রাফারকে দিয়ে ভিডিও করানো গেলে তবেই বৈঠকে বসতে চেয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। পড়ুয়াদের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়, মুখ্যমন্ত্রীর তরফে যে ভিডিও করা হচ্ছে, বৈঠক শেষে সেই ভি়ডিও-র কপি আন্দোলনকারীদের দিতে হবে। তাতেও রাজি হয়নি রাজ্য। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, স্বচ্ছতার প্রশ্নে পিছু হঠতে নারাজ আন্দোলনকারীরা।
2. সমস্ত সরকারি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জুনিয়র চিকিৎসকদের ধরনামঞ্চ গিয়েই ঘোষণা করলেন, খোলনলচে বদলে নতুন করে এই সমিতিগুলি গড়া হবে। সেই সমিতিতে থাকবেন ডাক্তার, জুনিয়র ডাক্তার, নার্সরা। থাকবেন পুলিশ আধিকারিকও। সমিতির চেয়ারম্যান হবেন অধ্যক্ষরাই।
আর জি করের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর থেকে যে যে দাবি তুলে কর্মবিরতি করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা, তার মধ্যে অন্যতম কর্মক্ষেত্রে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় রোগী কল্যাণ সমিতির ভূমিকা কী ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির ভিতরে ঘুণ ধরা অবস্থা নিয়েও সরব হয়েছিলেন অনেকে। তা নিয়ে সেসময় কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবার সেই ‘ঘুঘুর বাসা’ ভাঙতে উদ্যোগী হলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। সমস্ত রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে নতুন করে গড়তে হবে বলে জানিয়ে দিলেন তিনি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।