রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা জহর সরকারের। মমতাকে চিঠি লিখে রাজনীতি থেকে বিদায় প্রাক্তন আইএএস-র। সন্দীপ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর বাড়িতে ইডি তল্লাশি। উদ্ধার বিপুল নগদ, মিলল ৫ কোটির সোনা। আরজি কর কাণ্ডে সুপ্রিম শুনানির আগে রাজপথে জনতার ঢল। ভূস্বর্গে নির্বাচনী প্রচারে রাজনাথ সিং। প্যারালিম্পিকে সর্বকালের সেরা পারফরম্যান্স ভারতের। মোট ২৯টি পদক জয়। রয়েছে ৭ সোনা, ৯ রুপো, ১৩টি ব্রোঞ্জ।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়ছেন জহর সরকার। রাজনীতির ময়দান থেকেই বিদায় নিচ্ছেন তিনি। চিঠি লিখে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহে দিল্লি গিয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে ইস্তফাপত্র দেবেন প্রাক্তন আইএএস।
চিঠিতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জহর। একই সঙ্গে দুর্নীতি, আরজি কর-সহ একাধিক ইস্যুতে দলের তথা নেত্রীর অবস্থান নিয়ে সরবও হয়েছেন। প্রাক্তন আমলার বক্তব্য, আর জি কর কাণ্ডের পর বাংলার সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের যে অনাস্থা। এই বিপুল দীর্ঘ কর্মজীবনে অনাস্থা আগে দেখেননি তিনি। সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, ‘তিনি কেন সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন না?’ একইসঙ্গে রাজ্যে দুর্নীতি এবং দলের একাংশের নেতাদের দাপট দেখে তিনি হতাশ, চিঠিতে আক্ষেপের সুরে একথাও উল্লেখ করেছেন জহর। তাঁর এই সিদ্ধান্তে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূল নেতার কথায়, “জহরবাবু একজন বিদগ্ধ মানুষ। ব্যক্তিগতভাবে আমরা তাঁর বিরোধিতা করব না।” পাশাপাশি জহর যে উদ্বেগের কথা বলছেন, সেই উদ্বেগের সঙ্গে তৃণমূলের অনেক সৈনিক একমত, এমনটাও জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ।
2. আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর বাড়িতে ইডি হানা। উদ্ধার বিপুল নগদ। মিলেছে সোনাও। উদ্ধার হওয়া সাত কেজি সোনার বাজারমূল্য অন্তত ৫ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ব্যবসায়ী স্বপন সাহার হদিশ পান তদন্তকারীরা। এই স্বপন সাহার সল্টলেকের বাড়িতে হানা দিয়েই বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি। উদ্ধার হওয়া সম্পত্তি স্বপন সাহার আয় বহির্ভূত কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বিপুল অঙ্কের টাকা ও কোটি-কোটি টাকার সোনা কেন একজন ব্যবসায়ীর বাড়িতে রাখা ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এদিকে, আরজি কর দুর্নীতি তদন্তে নয়া মোড়। জানা গিয়েছে, নিয়োগ-রেশন দুর্নীতির মতো এখানেও টাকা সরানোর হয়েছে অন্যত্র। একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে সরানো হয়েছে দুর্নীতির টাকা, এমনই দাবি ইডি সূত্রে। প্রাথমিক পর্যায়ে ৮-১০টি সংস্থার হদিশ মিলেছে। ইডির অভিযোগ, সন্দীপ ঘোষের নিকটতম আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের নামে খোলা হয়েছিল সংস্থা। এই সমস্ত সংস্থার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই অন্যত্র টাকা সরানো হয়েছে। সংস্থাগুলোর একাধিক ডিরেক্টরের নামও পেয়েছে ইডি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।