যৌন হেনস্তার অভিযোগে বিনোদুনিয়া তোলপাড়। মলয়ালম ইন্ডাস্ট্রিতে একের পর এক প্রযোজক পরিচালকের নাম হেনস্তায় জড়িয়েছিল আগেই। এবার বাংলার টলিউডেও এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন অনেকেই। আর এ প্রসঙ্গেই মনে করে নেওয়া যাক খোদ বলিউডের বাদশার কথা।
কানাঘুষো ছিলই, এবার প্রকাশ্যেই অভিযোগ। গোটা দেশেই বিনোদনের জগতে যৌন হেনস্তার অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলছেন কলাকুশলীরা। হেমা কমিটির রিপোর্ট সামনে আসতেই মলয়ালম ইন্ডাস্ট্রিতে ধস নেমেছিল। তারপর থেকেই ক্রমে ক্রমে সরব হচ্ছেন আরও অনেকেই। এমনকি বাংলা বিনোদুনিয়াতেও পড়েছে তার ছাপ। যৌন হেনস্তার অভিযোগে এক পরিচালককে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সাসপেন্ডও করেছে ডিরেক্টর্স গিল্ড। আর এই আবহেই মনে করে নেওয়া যাক খোদ বলিউড বাদশার সেই কথা, যেখানে তিনি সাফ বলেছিলেন, মহিলা পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করতেই তিনি বেশি স্বচ্ছন্দ।
এক পুরনো ভিডিওতে এ কথা বলতে দেখা গিয়েছে কিং খানকে। তবে পরিচালকদের ক্ষেত্রে এই প্রাধান্যের কথা তিনি ভেবেছিলেন কেন?
আরও শুনুন:
ধর্ষণ-সংস্কৃতি নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে, হিন্দি সিনেমার চোখ খুলবে তো?
না, যৌন হেনস্তার কোনও প্রসঙ্গে অবশ্য শাহরুখ এ কথা বলেননি। তবে তা ছাড়াও তো সিনেদুনিয়ায় নানারকমভাবে হেনস্তা ঘটে। ঘটে নানারকম দুর্ব্যবহার, ঠিকমতো কাজ না করার অভিযোগও। এই যাবতীয় সমস্যাকে মেয়েরা অনেক ভালোভাবে সামলাতে পারেন, এমনটাই মনে করেছিলেন শাহরুখ। তিনি বলেছিলেন, পুরুষেরা সাধারণত তাদের অনুভূতিগুলো খোপে খোপে ভাগ করে ফেলে। তবে মেয়েরা কাজের ক্ষেত্রে অনেক ব্যাপক, আবার গোছানোও বটে। তাদের সংবেদনশীলতার কারণেই তাদের সঙ্গে কাজ করা বেশি আরামের।
আসলে যে কোনও অসুবিধার নেপথ্যেই এই সংবেদনের প্রশ্নটি থাকে। কোনও সমস্যাকে সংবেদনের সঙ্গে দেখলে তার মোকাবিলা করা অনেক সহজ হয়। তার চেয়েও বড় কথা, সংবেদন নিয়ে দেখলে হেনস্তার প্রবণতাগুলিকে অনেকসময় আগে থেকেই চিহ্নিত করে সে বিষয়ে সতর্ক হতে পারেন পরিচালক, যাতে তাঁর দলের বাকিদের সেই হেনস্তার মুখোমুখি না হতে হয়। বিনোদুনিয়ায় লাগাতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ কথাও মনে রাখা দরকার।