৩০ বছর পেরিয়েছে। তবু বিচার মেলেনি। মামলা ঝুলে আদালতে। আর এমন মামলার সংখ্যা প্রায় ৬২ হাজার। এর মধ্যে কিছু মামলা এমনও রয়েছে, যা ৭০ বছরের পুরনো। আর কী জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
তদন্ত শেষ। আদালতে জমা পড়েছে বিস্তারিত রিপোর্ট। অভিযুক্ত পুলিশ হেফাজতে। কিন্তু তারপর? আর এগোয়নি মামলা। দিনের পর দিন পিছিয়েছে শুনানির তারিখ। মাস পেরিয়ে বছর গড়িয়েছে। বিচারের অপেক্ষা ফুরোয়নি। আর এমন মামলার সংখ্যা কয়েক লক্ষ। তার মধ্যে ৬২ হাজার মামলা ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিচারাধীন।
:আরও শুনুন:
ধর্ষণ-সংস্কৃতি নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে, হিন্দি সিনেমার চোখ খুলবে তো?
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় রিপোর্টে এমনই তথ্য সামনে এসেছে। শুধুমাত্র হাইকোর্টেই ঝুলে আছে লক্ষ লক্ষ মামলা। তালিকায় কলকাতা, মাদ্রাজ সহ বিভিন্ন আদালত রয়েছে। কেন্দ্রীয় রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, প্রায় ৬২ হাজার মামলা ৩০ বছর ধরে বিচারাধীন। তার মধ্যে ১৯৫৪ সাল থেকে চলে আসছে এমন মামলা রয়েছে চারটি। ১৯৫৫ সালে আদালতে ওঠা ৯টি মামলায় এখনও বিচার সম্পূর্ণ হয়নি। রয়েছে ১৯৫২ সালের তিনটি মামলাও। তার মধ্যে দুটি মামলা কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন। আরেকটি মাদ্রাজ হাইকোর্টে। অর্থাৎ প্রায় ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে এমন মামলার নিষ্পত্তি হয়নি আদালতে। কিছুদিন আগে একইভাবে সামনে এসেছিল সিবিআই তদন্তের পর আদালতে ঝুলে থাকা মামলার সংখ্যা। কেন্দ্রীয় ভিজিলেন্স কমিটির রিপোর্টে দেখা গিয়েছিল, সিবিআই তদন্তের পরও ৬৯০০ দুর্নীতি মামলার ফয়সলা বাকি দেশের বিভিন্ন আদালতে। এই নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন খোদ রাষ্ট্রপতি। এমনকি বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করেছে সুপ্রিম কোর্টও। এই আবহে সামনে এল হাইকোর্টে ঝুলে থাকা মামলার সংখ্যা।
আরও শুনুন:
অন্ধকার সময়ের গান! আন্দোলন যদি নতুন সুরের জন্ম না দেয়, তবে ‘আর কবে’?
স্রেফ ৩০ বছরের পুরনো মামলা নয়। ১০,১৫,২০ বছর ধরে চলছে এমন মামলার সংখ্যাও চমকে দিতে পারে। রিপোর্ট বলছে, এখনও অবধি প্রায় ৫৯ লক্ষ মামলার চূড়ান্ত রায়দান বাকি। তার মধ্যে প্রায় ৪৩ লক্ষ দেওয়ানি মামলা (civil nature) আর ১৬ লক্ষ ফৌজদারি মামলা (criminal nature)। ২০ বছরের পুরনো মামলার সংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষ। আপাতত আর জি কর কাণ্ডের তদন্ত কবে শেষ হয়, সেদিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। তারপর আদালতে উঠবে মামলা। সেখানেও যে তাড়াতাড়ি বিচার হবে সে কথা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় রিপোর্টের পর এই নিয়ে নতুন করে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে অনেকের মনেই।