আদালতে গোপন জবানবন্দি সন্দীপ ঘোষের। মঞ্জুর নির্যাতিতার ৪ সহকর্মী-সহ ৬ জনের পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদন। আর জি কর মামলায় রাজ্যকে প্রশ্নবাণ শীর্ষ আদালতের। কাজে ফেরার নির্দেশ আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের। তবে কোনও ব্যবস্থা নয় আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। দেশ জুড়ে বাড়ছে ধর্ষণের ঘটনা। ১৫ দিনের মধ্যে বিচার শেষের আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর। ভারী বৃষ্টিতে বাংলাদেশে বন্যা, ঘরবন্দি দেড় লক্ষের বেশি।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন মামলায় এবার প্রাক্তন অধ্যক্ষের গোপন জবানবন্দি নিল আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে শিয়ালদহ আদালতে আনা হয় তাঁকে। আদালতে গোপন জবানবন্দি দেন তিনি। এছাড়া তাঁর পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদন জানায় সিবিআই। তবে, কবে তা হবে, সে বিষয়ে এখনও জানা যায়নি। এদিকে ধৃত ঘটনার দিন নির্যাতিতার সঙ্গে থাকা চার পড়ুয়া-চিকিৎসকেরও পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদন জানানো হয় সিবিআইয়ের তরফে। তা মঞ্জুর করেছে আদালত। অন্যদিকে, এই ঘটনায় একমাত্র গ্রেপ্তার হওয়া সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্টের জন্যও আবেদন জানায় সিবিআই। তাতে সম্মতি দিয়েছে আদালত। তবে সঞ্জয় নিজে পলিগ্রাফ টেস্টে রাজি আছে কি না, তা জানাতে হবে শিয়ালদহ আদালতের বিচারকের সামনে। সেই কারণে আজই সঞ্জয়কে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয় শিয়ালদহ আদালতে। সূত্রের খবর, আইনি প্রক্রিয়া মিটে গেলে সঞ্জয়কে শুক্রবার নিউটাউনের ফরেনসিক পরীক্ষাগারে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। সেখানেই তার পলিগ্রাফ টেস্ট হবে বলে জানা গিয়েছে।
2. আর জি কর মামলায় সুপ্রিম কোর্টে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য। কেন ময়নাতদন্তের পর পর দায়ের হল অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ? কেন গোটা দিন পেরিয়ে রাত সাড়ে এগারোটায় সুরক্ষিত করা হল ঘটনাস্থল?এদিন শুনানি জুড়ে বারবার প্রশ্ন তোলে শীর্ষ আদালত। রাজ্যের তরফে তার উত্তর দেওয়া হলেও, রাজ্যের যুক্তিতে মোটেই সন্তুষ্ট নয় আদালত। বিচারপতি জে পার্দিওয়ালা বলেন, তিনি তাঁর ৩০ বছরের কেরিয়ারে দেখেননি যে আগে ময়নাতদন্তের পর অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হচ্ছে। কপিল সিব্বলের একাধিক যুক্তি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। তুলোধোনা করেন কলকাতা পুলিশকেও। এদিন গোটা ঘটনায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ্যের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। কাকে বাঁচাতে চাইছেন সন্দীপ ঘোষ? তাঁর অভিসন্ধিই বা কী? এমন প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি। এদিন আদালতের তরফে প্রশ্ন করা হয়, কেন তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর ১৪ ঘণ্টা লাগল এফআইআর করতে? বলা হয়, অধ্যক্ষের উচিত ছিল হাসপাতালে পৌঁছে প্রথমেই এফআইআর করা। কিন্তু তিনি তা করেননি। কেনই বা পদত্যাগের পরই ফের অন্য হাসপাতালে নিয়োগ করা হল তাঁকে? সেই প্রশ্নও ওঠে আদালতে। পাশাপাশি, আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কাজে ফেরার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। তবে শীর্ষ আদালতের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। সুপ্রিম আর্জির সত্ত্বেও আন্দোলনে অনড় থাকবেন বলেই জানিয়েছেন আর জি করের চিকিৎসকরা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।