বিশেষজ্ঞদের মতে, শুক্রাণুদান ক্রমশ একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। এর মাধ্যমে অনেকেই যথেষ্ট উপার্জন করতে পারেন। এই কারণে বেড়েছে শুক্রাণুদাতার সংখ্যা। এবং তা রপ্তানি হচ্ছে বহু দেশেই।
গোটা বিশ্বের পরিবারের দখল নিচ্ছে ব্রিটিশ ভিকি ডোনার-রা? সেখানকার সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অন্তত তাই-ই বলছে। যে হারে বাড়ছে ভিনদেশে শুক্রাণু রপ্তানি, তাতে সারা বিশ্বের পরিবারের প্রভাব থেকে যাচ্ছে ব্রিটিশ স্পার্ম ডোনারদের।
ব্রিটেনের ক্ষেত্রে নিয়ম অবশ্য আলাদা। একজন শুক্রাণুদাতা সবথেকে বেশি দশটি পরিবারেই শুক্রাণু দান করতে পারেন। তবে, রপ্তানির ক্ষেত্রে সেরকম নিয়ম নেই। যে নিয়মকানুন আছে, তার কিছু ফাঁকফোকরও আছে। তাই বিশ্ব জুড়ে একাধিক দেশে পৌঁছে যাচ্ছে ব্রিটিশ পুরুষের শুক্রাণু, এবং তার ফলে একজন শুক্রাণুদাতার শুক্রাণু ব্যবহৃত হচ্ছে অনেক পরিবারের ক্ষেত্রেই। দশটি পরিবারের সীমাবদ্ধতা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বলবৎ হচ্ছে না। আর তাই পরিবার পরিকল্পনায় ‘ব্রিটিশ আধিপত্য’ বাড়ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বছর পাঁচেক আগেও অবশ্য এই অবস্থা ছিল না। উলটে বরং শুক্রাণু আমদানি হত ইউকে জুড়ে। তবে সেই পরিস্থিতি পালটায় দ্রুত লয়ে। উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, স্পার্ম ডোনারের সংখ্যাও। ঠিক কবে থেকে এই প্রবণতা বেড়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে, বিশেষজ্ঞদের মতে, শুক্রাণুদান ক্রমশ একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। এর মাধ্যমে অনেকেই যথেষ্ট উপার্জন করতে পারেন। এই কারণে বেড়েছে শুক্রাণুদাতার সংখ্যা। এবং তা রপ্তানি হচ্ছে বহু দেশেই। চিকিৎসকদের মতে, বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শুক্রাণু বহু দিন পরেও ব্যবহার করা সম্ভব। এমনকী, দশক কেটে গেলেও তার সক্ষমতা বজায় থাকে। এই পরিস্থিতিতেই নতুন জটিলতা তৈরি হয়েছে। অনেকের মতে, ডিম্বানু রপ্তানির ক্ষেত্রেও এরকম একটা নতুন বাজার তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে, এখনই তা বাস্তবায়িত হয়নি।
কিন্তু শুক্রাণু রপ্তানি বাড়লে সমস্যা কোথায়? ব্রিটিশ স্পার্ম ডোনারদের জন্য তা লাভজনক হলেও, বিশ্বের জন্য তা স্বাস্থ্যকর নয়। কারণ, এক্ষেত্রে জিনগত যে সাদৃশ্য তৈরি হবে, তার নানা প্রভাব পড়তে পারে বিশ্বের পরিবারে, মানববৈচিত্রে। আর তাই দশ পরিবারের মধ্যে শুক্রাণুদাতাকে বেঁধে রাখার গণ্ডি অন্য দেশেও জারি হওয়া প্রয়োজন। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।