বাচ্চার হাতে যখন তখন ফোন তুলে দেন অভিভাবকরাই। সোশাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট রয়েছে অনেক বাচ্চারই। এই বিষয়েই ‘অশনি-সংকেত’ দেখছেন শিশুমনোরোগ বিশেষজ্ঞ থেকে শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা।
একদল মানুষ এই অতিমারির আবহে স্মার্টফোন বা পর্যাপ্ত ইন্টারনেটের অভাবে পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হু হু করে বাড়ছে বাল্যবিবাহ এবং শিশুশ্রমিকের সমস্যা। সেখানে শৈশব বিপন্ন হচ্ছে শিশুশ্রম বা আর্থিক দুর্গতির জন্য নয়, বরং অন্য কারণে। সোশাল মিডিয়ার বাড়বাড়ন্তে।
আরও শুনুন: সেপ্টেম্বরেই শুরু বাচ্চাদের Vaccination, ইঙ্গিত AIIMS প্রধানের
সম্প্রতি জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে কিছু বিপদ্জনক তথ্য। এই মুহূর্তে ভারতের ১০ বছরের কম বয়সি বাচ্চাদের ৩৭.৮ শতাংশেরই রয়েছে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। যে বয়সে মাঠে ফুটবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবল খেলার কথা, আকাশে মেঘের মধ্যে হাতি বা নৌকা খুঁজে পাওয়ার কথা, সেই বয়সে তারা বসে থাকছে মোবাইলে মুখ গুঁজে। তাছাড়া ব্যাপারটা আইনগত ক্ষেত্রেও খুব একটা আইনানুগ নয়, বরং আইনবিরুদ্ধ। ১০ বছরের নিচে যে কারো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা আইনবিরুদ্ধ। ফেসবুকের নিয়ম অনুযায়ী এই সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে বয়স হতে হয় অন্তত তেরো। দেশের বহু শিশু ফেসবুকের সীমানা পেরিয়ে পা দিচ্ছে ইনস্টাগ্রামের দুনিয়ায়। সমীক্ষায় প্রকাশ, এই মুহূর্তে দেশের প্রায় ২৪.৩ শতাংশ শিশুর রয়েছে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট। ফেসবুকের মতোই ১০ বছরের কম বয়সি শিশুদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট খোলাও একেবারেই আইনবিরুদ্ধ।
ওই সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, দেশের ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিশু-কিশোরদের প্রায় ৪৩ শতাংশ কোনও না কোনও সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত। এই ছবি সামনে আসায় সমীক্ষকরা যথেষ্ট উদ্বেগে।
বিস্তারিত শুনে নিন প্লে-বাটনে ক্লিক করে।