আর জি করের ঘটনায় অভিযুক্তের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত। হয়েছিল যৌন নির্যাতন, প্রাথমিক তদন্তে জানালেন পুলিশ কমিশনার। দোষীর ফাঁসি চাইলেন মমতা। আপত্তি নেই সিবিআই তদন্তেও।অধ্যক্ষের বিতাড়নের দাবিতে সরব পড়ুয়ারা। রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে কর্মবিরতি চিকিৎসকদের। সাংসদ হয়েই এলাকার স্বাস্থ্য পরিষেবায় জোর পার্থ ভৌমিকের। অশান্তি জারি বাংলাদেশে। ইউনুসের সরকার অসাংবিধানিক, দাবি হাসিনা-পুত্রের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 8 আগস্ট 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ মোদি-মমতার, আগামিকাল দেহদান
বিস্তারিত খবর:
1. আর জি কর হাসপাতালে মৃত তরুণী চিকিৎসকের উপর যৌন নির্যাতন হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর মেনে নিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি জানিয়েছেন, মূল অপরাধী হিসেবে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে সন্দেহভাজন বলে মনে করছে পুলিশ। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ ও উদ্ধার হওয়া ছেঁড়া ব্লুটুথ হেডফোনের সূত্র ধরে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ওই বিভাগের সিসিটিভি ফুটেজে ধৃতকে করিডরে ঘুরতে দেখা গিয়েছে, যা সেসময় হওয়ার কথা ছিল না। ঘটনাস্থলে কী কী সাক্ষ্যপ্রমাণ মিলেছে, তাও জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। সরকারি হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে লজ্জিত, বলছেন সিপি। যদিও পুলিশ কমিশনারের বিবৃতি থেকে উঠছে একাধিক প্রশ্নও।
এদিকে শনিবারই শিয়ালদহ আদালতে পেশ করা হয় অভিযুক্তকে। ধৃতের হয়ে সওয়াল করেননি কোনও আইনজীবীই। এ ঘটনাকে নির্ভয়া কাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করে সওয়াল সরকারি আইনজীবীর। আগামী ২৩ তারিখ পর্যন্ত অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ বিচারপতির।
2. আর জি কর হত্যাকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা বাংলা। অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড চাইলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানালেন, “প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি, ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টে কেসটা গিয়েছে, একেবারে ফাঁসির আবেদন জানানো হোক।” একইসঙ্গে তিনি জানালেন, সিবিআই তদন্তেও আপত্তি নেই রাজ্যের।
তরুণী চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় বিক্ষোভে উত্তপ্ত আর জি মেডিক্যাল হাসপাতাল চত্বর। আন্দোলনকারীদের দাবি, অবিলম্বে এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সেই দাবি সংগত, মানলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। RG করের নিহত চিকিৎসককে ‘কন্যাসম’ বলে দুঃখপ্রকাশ করেছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। আর জি করে যা ঘটেছে, তাতে দোষীর সর্বোচ্চ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন ফিরহাদ। তবে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ না করারও আর্জি জানিয়েছেন মেয়র।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।