বাংলাদেশে পদত্যাগ শেখ হাসিনার। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ঘোষণা সেনাপ্রধানের। আপাতত ভারতে হাসিনা, জল্পনা পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে। বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী। বন্ধ রেল ও বিমান পরিষেবা। উদ্বিগ্ন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ‘হিন্দুদের উপর যেন আক্রমণ না নামে’, বার্তা কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কের। বঙ্গভঙ্গ বিরোধিতায় মমতার পাশেই শুভেন্দু, রাজ্য সঙ্গীতও গাইল বিজেপি। এগিয়েও ব্রোঞ্জ হাতছাড়া লক্ষ্য সেনের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 2 আগস্ট 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- ৩০০ পেরোল ওয়ানড়ে মৃতের সংখ্যা, আটকে বাংলার ২৪২ শ্রমিক
বিস্তারিত খবর:
1. ছাত্র আন্দোলন থেকে যে গণবিক্ষোভ, তার জেরে শেষমেশ পদত্যাগ করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর পদত্যাগের পরই বাংলাদেশে কার্যত ফিরল সেনাশাসন। অন্তর্বর্তী সরকার গড়ার ঘোষণা করেছেন সে দেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। সমস্ত হত্যার বিচার করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, উন্মত্ত জনতাকে শান্তি বজায় রাখার আর্জিও জানিয়েছেন সেনাপ্রধান। মনে করা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হতে পারেন নোবেলজয়ী ইউনুস। এদিকে সোমবার দুপুরেই নিজের বাসভবন অর্থাৎ গণভবন ছাড়েন হাসিনা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, দিল্লির লাগোয়া গাজিয়াবাদের হিন্ডন এয়ারবেসে অবতরণ করেছে হাসিনার কপ্টার। তবে, হাসিনা ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি বলেই জানা গিয়েছে। তিনি লন্ডন যেতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছিল। তবে, ব্রিটেন তাঁর রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুরোধ নাকচ করেছেন বলেই জানা গিয়েছে। ফলে তাঁর পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে চলছে জল্পনা। এদিকে এই সংকটকালে অনির্বাচিত দল যেন ক্ষমতা দখল না করে, সেনাকে এমন বার্তাই দিয়েছেন হাসিনার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ। তবে তাঁর মা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না, সংবাদসংস্থা বিবিসি-কে জানিয়েছেন তিনি। ফলে, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কোন দিকে গড়াতে পারে সেদিকে নজর গোটা বিশ্বেরই।
2. বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। সূত্রের খবর, পরিস্থিতির খুঁটিনাটি বিস্তারিত প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন তিনি। বর্তমান বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জেরেই একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতও। আপাতত দু’দেশের মধ্যে যাতায়াত বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে দু’দেশের মধ্যে রেল যোগাযোগও। রাত ১১টা পর্যন্ত ঢাকাগামী সমস্ত বিমান বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া সতর্কতা জারি করেছে বিএসএফ। সীমান্তবর্তী এলাকায় পৌঁছে গিয়েছেন বিএসএফের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর এবং দক্ষিণে একাধিক জেলায় রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত। কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত মুড়ে ফেলা হয়েছে কড়া নিরাপত্তায়। সেখানেও পৌঁছে গিয়েছেন বিএসএফের উচ্চপদস্থ কর্তারাও। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্থল-বাণিজ্য। একই পরিস্থিতি দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে। থমথমে পরিস্থিতিতে বিএসএফের কড়া পাহারায় সিল করা হয়েছে সীমান্ত। একই ছবি পেট্রাপোল সীমান্তেও। সেখানেও জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, দুদেশের সীমান্তের পরিস্থিতি আপাতত স্বাভাবিক-ই রয়েছে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।