বাড়ি ছেড়ে পাড়ি দিয়েছেন দূর বিদেশে। চোখে মেডেল জয়ের স্বপ্ন। নাওয়া খাওয়া ভুলে প্যারিসে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিচ্ছেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। তাই বলে দেশের স্বাদ একেবারে ভুলে যাবেন মনু-নীরজরা? সেই ব্যবস্থা করতেই প্যারিসে হাজির তাজমহল। ব্যাপারটা কী? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
‘ঠিক মায়ের মতো হয়নি’…বাইরে থাকলে খাবার নিয়ে এমন অভিযোগ অনেকেই করেন। তবু কর্মসূত্রে বাধ্য হয়েই তা মেনে নিতে হয়। নীরজ-মনু সহ ভারতীয় অ্যাথলিটদেরও এখন ঠিক সেই অবস্থা। মায়ের হাতের খাবার তো দূর, ভারতীয় খাবারের স্বাদই ভুলতে বসেছিলেন সকলে। সেই সমস্যা মেটাতেই প্যারিসে হাজির ‘তাজমহল’।
:আরও শুনুন:
শাড়ি পরেই অলিম্পিকে বাজিমাত, ভারতের প্রথম মহিলা টেনিস খেলোয়াড়কে চেনেন?
ঠিক ধরেছেন, কথা বলছি প্যারিসের বিখ্যাত রেস্তোরাঁ সম্পর্কে। যেখানে ভারতের প্রায় সমস্ত খাবারই পাওয়া যায়। অলিম্পিকের খেলোয়াড়দের দেশের স্বাদ মনে করাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে এই রেস্তোরাঁ। ইতিমধ্যেই, ভারতীয় অ্যাথলিটদের অনেকে অলিম্পিক সফর শেষ করেছেন। কেউ কেউ শূণ্য হাতে ফিরছেন। আবার কারও ঝুলিতে জোড়া পদক। এঁদের অনেকেই খেলা শেষ করে তাজমহলে ঢুঁ মারছেন। বিদেশের মাটিতেও দেশের স্বাদ পেয়ে যারপরনাই খুশি মনু-সরবজিতরা। কিছুদিন আগেই অলিম্পিক ভিলেজে খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ শোনা গিয়েছিল। বিশেষ করে ভারতীয় অ্যাথলিটরা দাবি করেন, গেমস ভিলেজের খাবার মুখে তোলা যাচ্ছে না। সেই অভিযোগ মেটাতেই বিশেষ ব্যবস্থা করে প্যারিসের রেস্তোরাঁ। শুধু তাজমহল নয়, একইসঙ্গে ভারতীয় পদের পসরা সাজিয়েছে বম্বে রেস্তোরাঁও। দুটিই শঁতিয়ে (Chateauroux) চত্বরে। অর্থাৎ অলিম্পিক গেমস ভিলেজের কাছেই।
:আরও শুনুন:
যুদ্ধের সিরিয়া ছেড়ে পালিয়েছিলেন সাঁতার কেটে, অলিম্পিক্সের মঞ্চে দেশের মুখ সেই তরুণীই
তাজমহলের মালিক পাকিস্তানের আতিফ নোমান। মনুর সাফল্যে তিনিও রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। খেলার মাঝে মনু এই রেস্তোরাঁ এসেছিলেন। এরপর টিভিতে মনুকে দেখেন আতিফ। তাতেই বেজায় খুশি হন। তাজমহলে, সবরকমের ভারতীয় খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। ডাল মাখানি থেকে পালক পনীর, সবই তৈরি করা হচ্ছে একেবারে দেশীয় রেসিপি মেনে। কাজেই খালোয়াড়রা কোনওভাবেই বিদেশের মাটিতে বসে ভারতীয় খাবারের জন্য আক্ষেপ করবেন না বলেই দাবি রেস্তোরাঁর মালিক আতিফের। অন্যদিকে ‘বোম্বে’ রেস্তরাঁর ম্যানেজার আফগানিস্তানের মহম্মদ হামজাও একই দাবি করেছেন। দীর্ঘ ৩৮ বছর প্যারিসের বুকে রমরমিয়ে চলছে তাঁদের এই দোকান। এমনিতে সে দেশের ভারতীয়রাই খেতে আসেন। তবে অলিম্পিক চলাকালীন ভিড় জমাচ্ছেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। প্রত্যেককেই টিভিতে দেখছেন রেস্তরাঁর কর্মীরা। সেই খেলোয়াড়দেরই খাবার পরিবেশন করার সুযোগ পেয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত তাঁরাও। বোম্বে রেস্তরাঁয় মূলত নিরামিষ খাবার পাওয়া যায়। তাই খেলোয়াড়দের অনেকেরই প্রথম পছন্দ হয়ে উঠেছে এই রেস্তরাঁ। একইসঙ্গে দলের অন্যান্য সদস্যরাও নিয়মিত বোম্বে এবং তাজমহলে আসছেন বলেই দাবি রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের।