ওয়ানড়ে মৃতের সংখ্যা ৩০০ পার। আটকে বাংলার ২৪২ শ্রমিক, চলছে উদ্ধারকাজ। ভূমিধসে ঘরহারাদের বাড়ি বানানোর প্রতিশ্রুতি রাহুলের। জীবনবিমা ও স্বাস্থ্যবিমায় জিএসটি প্রত্যাহারের দাবি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর। ফের রামকৃষ্ণ মিশনের জমি বেদখলের অভিযোগ। দিল্লি কোচিং সেন্টারে ৩ UPSC পড়ুয়ার মৃত্যু। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ আদালতের। তেল আভিভ-গামী সমস্ত উড়ান বাতিল এয়ার ইন্ডিয়ার। অলিম্পিকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় ভারতীয় হকি দলের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 1 আগস্ট 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- ওয়ানড় বিপর্যয়ে মৃত অন্তত ২৭৬, ঘটনাস্থলে হাজির রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
আরও শুনুন: 31 জুলাই 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- ওয়ানড়ে ধসের আগেই সতর্ক করা হয় কেরলকে, বাম সরকারকে নিশানা শাহের
বিস্তারিত খবর:
1. ওয়ানড়ে মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়াল। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৩০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে ভয়াবহ ভূমিধসে। এখনও আটকে বহু। তার মধ্যে কতজন জীবিত আছেন জানতে বিশেষ প্রযুক্তি কাজে লাগাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। কিন্তু লাগাতার বৃষ্টি এবং ধসের কারণে ওয়ানড়ের একাধিক সেতু এবং রাস্তা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ফলে বিপদগ্রস্ত এলাকাগুলোতে পৌঁছতেই পারছেন না উদ্ধারকারীরা।
কেরলের ধ্বংসস্তূপে আটকে রয়েছেন বাংলার বহু শ্রমিক। রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক জানিয়েছেন, বাংলার মোট ২৪২ জন শ্রমিক আটকে রয়েছে কেরলে। এর মধ্যে ১৫৫ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা গিয়েছে। আটকে পড়া ওই শ্রমিকরা দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা। প্রত্যেকেই সুস্থ রয়েছেন। বাকিদের সঙ্গে সন্ধ্যার মধ্যে যোগাযোগ করা সম্ভব হবে বলেই আশা মন্ত্রীর। এদিকে, ভূমিধসে ঘরহারা পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন রাহুল গান্ধী। এলাকার প্রাক্তন সাংসদের ঘোষণা, ওয়ানড় বিপর্যয়ে ঘরছাড়া মানুষদের জন্য শতাধিক বাড়ি তৈরি করে দেবে কংগ্রেস। একইসঙ্গে উদ্ধারকাজে কীভাবে আরও গতি বাড়ানো যায় সে বিষয়েও আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাহুল।
2. জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমায় জিএসটি প্রত্যাহারের দাবি আরও জোরালো করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে তাঁর দাবি, “অসুস্থতা, দুর্ঘটনা, এবং মৃত্যুর মতো কঠিন সময়ে মানুষকে আর্থিকভাবে সাহায্য করাই জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্য বিমার মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু এভাবে বিমার উপর জিএসটি চাপানো আমনাগরিকের উপর বোঝা বাড়াচ্ছে।” মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, কেন্দ্রের জিএসটি নীতির ফলে বহু মানুষ নতুন বিমা পলিসি নিতে চাইছেন না। যার ফলে বিপদের সময় আর্থিক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, বিমায় জিএসটি লাগু করার এই জনবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হোক। এদিন সংসদেও জিএসটি প্রত্যাহারের ইস্যুটি তুলেছিল তৃণমূল। কিন্তু, এই ইস্যুতে সংসদে তাঁদের বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তৃণমূলের দাবি, সংসদে এই ইস্যুতে বলতে উঠলেই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। যার প্রতিবাদে ওয়াক-আউট করে তৃণমূল। এদিকে, মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিধানসভায় বিক্ষোভ বিজেপির। এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উদ্যোগে প্রতীকী সবজি বিক্রি করা হয় বিধানসভায়। পরে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিধানসভায় ওয়াকআউটও করে পদ্মশিবির।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।