আমিষ দোকানের জল খেয়েছিলেন। তাতেই মহাপাপ হয়েছে। নিজেকে শুদ্ধ করতে টানা ৪৫ দিন গোমূত্র খেয়েছিলেন মহিলা। কিন্তু তাঁর এই অভিজ্ঞতার কথা শুনে হাসির রোল তুলেছে নেটদুনিয়া। ঠিক কী বলছেন মহিলা? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
আমিষ খেলে পাপ হবে! এমনটা অনেকেই বিশ্বাস করেন। কিন্তু আমিষ দোকানের জল খেলেও কি একই পাপের ভাগীদার হতে হবে? জয়পুরের মহিলার দাবি অন্তত তাই। না বুঝে আমিষ দোকানের জল খেয়েই মারাত্মক সমস্যায় পড়েছিলেন তিনি। নিজেকে শুদ্ধ করতে ৪৫ দিন গোমূত্র খেতে হয়েছিল তাঁকে।
:আরও শুনুন:
কোটি কোটি টাকার মণিমাণিক্যে ভরা রত্নভাণ্ডার! পুরীর মন্দিরে এত সম্পত্তি এল কীভাবে?
লোকসভা ভোটে মাছ মাংসই যেন হয়ে উঠেছিল রাজনৈতিক হাতিয়ার। ভোটের হাওয়ায় আমিষ-নিরামিষে রীতিমতো দ্বন্দ্ব বেধেছে বারবার। খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদিও শ্রাবণমাসে আমিষ খাওয়াকে, মোঘল সংস্কৃতির পরিচয় বলে দাবি করেছিলেন। কিছুদিন আগে গুজরাটের এক শহরে পাকাপাকিভাবে বন্ধ হয়েছে আমিষ খাওয়া। তবে জয়পুরের এই মহিলা নিরামিষাশী। আমিষ খাবারের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতেই পছন্দ করেন। শুধু তাই নয়, আমিষ খাবারের ছোঁয়া লেগেছে এমন জল খেতেও তাঁর বেজায় আপত্তি। আসলে, ইনি পেশায় জ্যোতিষী। বাস্তু, সংখ্যাতত্ত্ব, শাস্ত্র বিষয়ে সোশাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে আমিষ না খাওয়ার নিদানও দেন হামেশাই। কিন্তু না বুঝে একবার আমিষ দোকানের জল খেয়ে ফেলেন তিনি নিজেই। মহিলার কথায়, পুরীতে গিয়ে এমন অভিজ্ঞতা তাঁর হয়েছিল। সেখানকার এক রেস্তোরাঁ থেকে খাবার আনিয়ে তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা খেয়েছিলেন। সে খাবার অবশ্যই নিরামিষ। সঙ্গে ছিল দোকানের দেওয়া জলও। কিন্তু খাবার-জল সব শেষ হয়ে গেলে মহিলা জানতে পারেন, ওই দোকানে আমিষ খাবারও পাওয়া যায়। ধরেই নেন, তাঁদের খাবারেও আমিষের ছোঁয়া লেগেছে। মহিলার দাবি, এমনটা হওয়ায় মারাত্মক পাপের ভাগীদার হয়ে পড়েন তাঁরা। শুদ্ধ হওয়া আশু প্রয়োজন। তাই নিজেদের শুদ্ধ করতে পঞ্চগোব্য খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মহিলা। শাস্ত্রমতে এই বিশেষ পানীয় সবকিছু শুদ্ধ করে। যার মূল উপাদান, গোরুর দুধ, দই, ঘি, গোমূত্র এবং গোময়। পরিবার নিয়ে সোজা হরিদ্বারে হাজির হন মহিলা। সেখানে টানা ৪৫ দিন ধরে এই পঞ্চগোব্য খেয়েই ছিলেন তাঁরা। সঙ্গে চলত সকাল সন্ধে ঠাকুরের নামগান।
:আরও শুনুন:
৪৩ দিন সংসার করেই বিচ্ছেদের আর্জি, ২২ বছর পরে মানল কোর্ট! কেন?
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে নিজের জীবনের এই অভিজ্ঞতা ভাগ করেছেন মহিলা। সেই ভিডিও নেটদুনিয়ায় ছড়াতেই শুরু হয় বিপত্তি। প্রায় সকলেই মাহিলার কথা শুনে হাসির রোল তোলেন। বেশিরভাগই মহিলার বাস্তব বিচার বুদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ কেউ তাঁকে কুসংস্কারাচ্ছন্ন বলেও কটাক্ষ করেছেন। সেইসঙ্গে যোগ হয়েছে তাঁর পেশা। অনেকেই মহিলার জ্যোতিষবিদ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সবই ভণ্ডামি, এই দাবিও উঠেছে। সবমিলিয়ে নিজের কৃচ্ছসাধনের কথা বলে হাসির পাত্র হয়েছেন এই মহিলা।