আর ‘সব কা সাথ’ নয়, প্রধানমন্ত্রীর নীতিতেই আপত্তি শুভেন্দুর। এড়ালেন ভোট বিপর্যয়ের দায়ও। সংরক্ষণবিরোধী আন্দোলনে রক্তাক্ত বাংলাদেশ। নিহত ৬, অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রসংঘও। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে পারেন কমলা হ্যারিস। আসন্ন নির্বাচনের আগেই কি অবসর বাইডেনের, জল্পনা বিদায়ী প্রেসিডেন্টের মন্তব্যে। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে হবে সব ক্রিকেটারকেই। তিন তারকাকে ছাড় বিসিসিআই-এর।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’ স্লোগান বাদ দেওয়ার ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নির্বাচনে ভরাডুবির ‘হতাশা’য় তাঁর দাবি, ভোটদাতাদেরই সঙ্গে থাকবে দল। বুধবার সায়েন্স সিটিতে রাজ্য বিজেপির বর্ধিত কর্মসমিতির বৈঠকে তাঁর আরও দাবি, তুলে দেওয়া হোক বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা। অর্থাৎ রাজ্য বিজেপি পুরোপুরি মেরুকরণের পথে হাঁটবে, পরোক্ষে তা বুঝিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা। তিনি সংগঠনের দায়িত্বে নেই, এ কথা বলে পরাজয়ের দায়ও কার্যত ঝেড়ে ফেলেছেন তিনি। তবে তাঁর এহেন মন্তব্য নিয়ে দলের অন্দরেই জলঘোলা শুরু হয়েছে। চাপে পড়ে নিজের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সাফাইও দিয়েছেন শুভেন্দু। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সাফ কথা, এ শুভেন্দুর ব্যক্তিগত মতামত, দল তা সমর্থন করে না। শুভেন্দুর মন্তব্যের ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন শমীক ভট্টাচার্যও। সব মিলিয়ে দলের অন্দরে ফের একবার প্রকট হল শুভেন্দু-সুকান্ত দ্বন্দ্ব, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
2. রাজ্যের যাবতীয় আপত্তি উড়িয়ে গত ১ জুলাই নয়া ফৌজদারি আইন কার্যকর করেছে কেন্দ্র সরকার। এবার তার পালটা পদক্ষেপ এল রাজ্যের তরফেও। কেন্দ্রের কার্যকর করা ন্যায় সংহিতা খতিয়ে দেখতে সাত সদস্যের কমিটি গড়ল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
বিতর্কিত ভারতীয় ন্যায় সংহিতা নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে রাজ্য সরকার। নয়া ফৌজদারি আইনের বিরোধিতা করে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর মূল বক্তব্য, এই আইন প্রণয়ণে বড্ড তাড়াহুড়ো করা হয়েছে, সব পক্ষের মতামত নেওয়া হয়নি। এবং কেন্দ্র যে ফৌজদারি আইনগুলি আনছে তা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। এবার এই আইন খতিয়ে দেখতে কমিটি গড়ল রাজ্য। সাত সদস্যের সেই কমিটির শীর্ষে রয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অসীম কুমার রায়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাজ্য সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল সঞ্জয় বসু, রাজ্য পুলিশের ডিজি, আইজি এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।