সাংসদ হিসেবে শপথ পাঠের আগেই মহিলা জওয়ানের চড় খেয়েছিলেন কঙ্গনা। সেই নিয়ে বেশ জলঘোলা হয়েছিল। সাংসদ হিসেবে কাজ শুরুর পর ফের বিতর্কে জড়ালেন মান্ডির সাংসদ কঙ্গনা রানাউত। ঠিক কী করেছেন তিনি? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
জনগণের প্রতিনিধি। কিন্তু চাইলেই যে কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। তার জন্য দেখাতে হবে আধার কার্ড। শুধু তাই নয়, কেন দেখা করার প্রয়োজন সেটাও জানাতে হবে আগেভাগেই। তবেই সুযোগ মিলবে দেখা করার। সম্প্রতি বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউতের এই ফরমান ঘিরে বেশ হইচই পড়েছে রাজনৈতিক মহলে।
:আরও শুনুন:
মহিলারা সাফল্য পেলেই লোকে ঘৃণা ছড়ায়! ‘ভুল’ করে কি ঠিকই বললেন কঙ্গনা?
এবারের লোকসভা ভোটে অনেক নতুন মুখ জায়গা পেয়েছেন। সেই তালিকায় অন্যতম বলি অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। অভিনয় জগতে সাফল্য পেলেও, এই মুহূর্তে সে পাঠ চুকিয়েছেন। তাঁর নতুন পরিচয় হিমাচলের বিজেপি সাংসদ। প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই বিপুল অঙ্কে জয়লাভ করেন। নির্বাচনের ফল ঘোষণা হতেই সে নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল। ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই বিমানবন্দরের মহিলা জওয়ানের হাতে সপাটে চড় খান কঙ্গনা। সেই নিয়ে উত্তাল হয় জাতীয় রাজনীতি। মহিলা জওয়ানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করা হয়। পালটা কৃষকরা জওয়ানের পাশে থাকার বার্তা দেন। সবমিলিয়ে ঘটনার জেরে চর্চার কেন্দ্রে ছিলেন কঙ্গনা। সময় নিজের নিয়মেই এগিয়েছে। সাংসদ হিসেবে শপথ পাঠ করেছেন কঙ্গনা। নতুন সাংসদদের নিয়ে লোকয়ভায় একটি অধিবেশনও হয়েছে। এরই মাঝে ফের বিতর্কে জড়িয়েছেন কঙ্গনা।
:আরও শুনুন:
শরীর দেখালেই জেলে পোরার হুমকি বিজেপির! এবার কঙ্গনাকে চড় মারায় কী বলছেন উরফি?
হিমাচলের মাণ্ডি থেকে নির্বাচন জেতা কঙ্গনা ফরমান জারি করেছেন, তাঁর সঙ্গে দেখা করতে হলে সঙ্গে আনতে হবে আধার কার্ড। সাংসদের দাবি, মান্ডিবাসীর সুবিধার কথা ভেবেই এই ব্যবস্থা। আধারকার্ড দেখে তিনি ঠিক করতে পারবেন কারা মান্ডির মানুষ। শুধুমাত্র তাঁরাই সুযোগ পাবেন দেখা করার। সেইসঙ্গে লিখে আনতে হবে সমস্যার কথাও। তেমন গুরুতর সমস্যা না হলেও দেখা করার সুযোগ বাঞ্চাল হতে পারে। আসলে, হিমাচলে সবসময় পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। তাঁদের অনেকেই অভিনেত্রী কঙ্গনার ফ্যান। সুযোগ পেলেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান। কিন্তু এমনটা হলে মান্ডির মানুষজন নিজেদের সমস্যা জানাতে পারবেন না। তাই আধারকার্ড নিয়ে অফিসে যাওয়ার কথা বলেছেন কঙ্গনা। শুধু তাই নয়, নিজের বাড়িতেও জনগণের সমস্যার কথা শুনবেন বলে জানিয়েছেন কঙ্গনা। তাঁর কেন্দ্রের কোনও ভোটার যেন সমস্যায় না থাকেন তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা। কিন্তু এই ফরমান মোটেও ভালোভাবে নেননি কঙ্গনা বিরোধীপক্ষ। পরাজিত কংগ্রেস প্রার্থী বিক্রমাদিত্য সিং কার্যত খোঁচা দিয়েই বলেছেন, তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আধার কার্ড আনার প্রয়োজন নেই। কংগ্রেস নেতার দাবি, জনগণের দেওয়া ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছেন কঙ্গনা। সেক্ষেত্রে এই ধরনের নিয়ম চালু করে সাধারণ মানুষের অপমান করছেন বিজেপি নেত্রী। একইসঙ্গে কে কী সমস্যা নিয়ে আসছে, সেটা বিচার করে সমস্যার সমাধান হবে এটাও অন্যায় বলেই মনে করছেন কংগ্রেস নেতা। সমস্যা ছোট হোক বা বড় তা সমাধান করা জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব। সুতরাং কঙ্গনার চালু করা এই নতুন নিয়ম যে কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়, তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা।