ধর্ম আলাদা, আলাদা দেশও। তবু অমরনাথের টানেই ছেলেকে নিয়ে ভারতে পাড়ি দিয়েছেন আমেরিকার এই মহিলা। চলতি বছরের অমরনাথ যাত্রায় পা মেলালেন দুজনেই।
দুর্গম পথ আর প্রকৃতির প্রতিকূলতা বাধা দেয় পদে পদে। তবুও প্রতি বছর পুণ্যলাভের আশায় অমরনাথ যাত্রা করেন হাজার হাজার তীর্থযাত্রী। সে দলেই এবার নাম লেখালেন আমেরিকার এক মহিলা ও তাঁর ছেলে। অন্য এক মহাদেশের বাসিন্দা তাঁরা। ভাষা আলাদা, ধর্ম আলাদা। তবুও অমরনাথের টানেই এ দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তাঁরা। আর তাঁদের এই যাত্রা দেখেই আবেগে ভেসেছেন ভক্তরা। ভক্তিই আসলে সব শক্তির উৎস, বলছেন তাঁরা। আর সেই ভক্তি দেশ-কাল নির্বিশেষে প্রবাহিত হতে পারে বলেই বিশ্বাস শিবভক্তদের।
আরও শুনুন:
৩০০০ বছরের পুরনো কাশী, এর থেকেও প্রাচীন শহর আছে পৃথিবীতে?
এমনিতে বছরের অনেকটা সময়েই বন্ধ থাকে হিন্দু তীর্থ অমরনাথ। কবে ‘বরফানি বাবা’র দেখা মিলবে, তার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন ভক্তরা। যাত্রা শুরুর খবর মিললে আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন তাঁরা। অমরনাথ যাত্রায় ৩৮৮০ মিটার পথ পেরোতে হয় ভক্তদের, যার পুরোটাই পাথুরে চড়াই। একে দুর্গম, তার উপরে প্রবল ঠান্ডা আবহাওয়া, সবকিছু পেরিয়ে মহাদেবের দরবারে পৌঁছন তাঁরা। আর সেই যাত্রাতেই এবার শামিল হয়েছেন এই মার্কিন মা-ছেলে, হিথার এবং হাডসন হ্যাথাওয়ে। ভারতে এসে এ দেশের পোশাকই পরেছেন মহিলা। নীল সালোয়ার কামিজে সেজে চলেছেন অমরনাথের দিকে। হিথার জানিয়েছেন, বহু বছর ধরেই অমরনাথে আসার জন্য দিন গুনেছেন তিনি। অবশেষে সত্যি হল সেই স্বপ্ন। ভারত সরকার এবং অমরনাথ তীর্থস্থানের কর্তৃপক্ষের সুন্দর ব্যবস্থাপনার জন্যই তাঁদের স্বপ্নপূরণ হল, ভূয়সী প্রশংসা করে বলছেন মার্কিন মহিলা। তাঁদের এই যাত্রার গল্প শুনে উচ্ছ্বসিত ভক্তরা। তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হোক বলেও সোশাল মিডিয়ায় দাবি জানিয়ে বসেছেন কেউ কেউ।
আরও শুনুন:
গঙ্গাবক্ষে বিকিনি সুন্দরী! পুণ্য হারানোর ভয়ে মাথায় হাত ভক্তদের
এর আগে, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের ডামাডোলের সময়েও দেখা গিয়েছিল, শিবের কাছে বিশ্বশান্তির জন্য প্রার্থনা করতে অমরনাথের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন ইউক্রেনের এক মহিলা। আবার স্বামী বিবেকানন্দের অমরনাথ যাত্রার কথা পড়ে কোনও মার্কিন নাগরিক অমরনাথের দিকে যাত্রা করেছেন, এমনটাও শোনা গিয়েছে। সেই তালিকায় এবার নয়া সংযোজন আমেরিকার এই মা ও ছেলে।