দুদিনের রুশ সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি। মস্কোয় দাঁড়িয়ে রাশিয়াকে ভারতের বিশ্বস্ত বন্ধু বলেই উল্লেখ করেছেন মোদি। তবে এই সম্পর্ক তৈরির নেপথ্যে নাকি রয়েছেন রাজ কাপুর, মিঠুন চক্রবর্তীর মতো অভিনেতারা। ঠিক কোন প্রসঙ্গ বলিউডের দুই কিংবদন্তির নাম নিলেন মোদি? শুনে নিন।
তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়ে দ্বিতীয় বিদেশসফরে নরেন্দ্র মোদি। দুদিনের জন্য মস্কো গিয়েছেন নমো। সেখান থেকে যাবেন অস্ট্রিয়াও। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মোদির এই রুশ সফর রাজনৈতিক মহলে বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বৈঠক সেরেছেন মোদি-পুতিন। দুই দেশের সম্পর্ক উন্নতি নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকি বহাল মহল। তবে রাশিয়ায় দাঁড়িয়ে দুই দেশের সম্পর্ক নিয় বিশেষ মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আর সেখানেই উঠেছে কিংবদন্তি বলি তারকাদের নাম।
আরও শুনুন: দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে পারে হিন্দু সংস্কৃতিই! দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
টি২০ বিশ্বকাপ থেকে আত্মনির্ভর ভারত- বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে একাধিক বিষয় কথা বলেছেন মোদি। সে দেশের প্রবাসী ভারতীয়রাও তাঁর কাছে বেশ কিছু আবেদন রেখেছেন। কেউ তুলেছেন হিন্দু মন্দির তৈরির দাবি, কাউ আবার আয়ুর্বেদকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেছেন। সকলের সঙ্গে কথা বলেছেন মোদি। এরপরই রাশিয়াকে ভারতের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেন মোদি। আর সেই বন্ধুতার কারণ নাকি রাজ কাপুর, মিঠুন চক্রবর্তীর মতো তারকা। আসলে, রাজ কাপুরের সঙ্গে রাশিয়ার যোগ টেনে একটি গানের কথা বলেছেন মোদি। ১৯৫৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘শ্রী ৪২০’ সিনেমার সেই গান আজও অনেকে মুখে মুখে ফেরে। ঠিক ধরেছেন, ‘মেরা জুতা হ্যায় জাপানি’ গানটির কথাই বলেছেন মোদি। এই গান একটি লাইন ছিল, ‘সার পে লাল টোপি রুশি, ফির ভি দিল হ্যায় হিন্দুস্তানি’। যার আক্ষরিক অর্থ করলে দাঁড়ায়, রাশিয়ার টুপি মাথায় পড়লেও মন হিন্দুস্তানেই থাকবে! এই প্রসঙ্গ ধরেই মোদির দাবি, সেই সময়কার এই গান ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দিয়েছিল। ইডিয়া-রুশি ভাই ভাই, এই স্লোগানও শোনা যেত তখন। রাজ কাপুর একইসঙ্গে দুই দেশে জনপ্রিয় হয়েছিলেন এই গানের সুবাদে।
আরও শুনুন: হিন্দুদের অপমান করেছেন রাহুল? বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে কংগ্রেস নেতার পাশে শঙ্করাচার্য
একইভাবে মিঠুন চক্রবর্তীর ‘জিমি জিমি’ গানটির সঙ্গেও রাশিয়ার যোগ উল্লেখ করেন মোদি। সে সময় এই গান রুশদেশে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। মিঠুন চক্রবর্তীর মতো কিংবদন্তি বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই সম্মান পেয়েছেন। সেই তালিকায় রাশিয়া যে উপরের দিকে সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন মোদি। আর এভাবেই তাঁর দাবি, সেই ৯০-র দশক থেকে দুই দেশে বন্ধুতার সম্পর্ক। এখনও সেই সম্পর্কে ফাটল ধরেনি বলেই দাবি মোদির। তাই পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের সঙ্গে সঙ্গে রাশিয়ার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতেই শোনা গেল মোদিকে।