শপথ জট কাটাতে এবার বিকল্প ভাবনা রাজ্য বিধানসভার। রাজ্যপালকে বাদ দিয়েই হতে পারে শপথ। বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন শুক্রবার। চুক্তিভিত্তিক শিক্ষাকর্মীদের জন্য সুখবর। নবান্নে বিদ্বজনদের সঙ্গে রাজ্যের সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা মুখ্যমন্ত্রীর। জেলমুক্তির পরেই কুরসিতে ফিরলেন হেমন্ত সোরেন। হাথরাস কাণ্ডে গ্রেপ্তার ৬ স্বেচ্ছাসেবী। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে ফের বিদেশসফরে প্রধানমন্ত্রী। দেশে ফিরল বিশ্বজয়ী ভারতীয় দল।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. শপথ জট কাটাতে এবার বিকল্প ভাবনা রাজ্য বিধানসভার। জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে বাদ দিয়েই হতে পারে দুই বিধায়কের শপথ। আগামী শুক্রবার বিশেষ অধিবেশনের ডাক দিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলাশাসকদের মারফত বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বিধানসভা। জেলাশাসকের দপ্তর থেকে শাসক-বিরোধী সব বিধায়ককে বার্তা পাঠানো হয়েছে। ওইদিন বিএ কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানে শপথ জট নিয়ে আলোচনা হতে পারে। পাশাপাশি স্ট্যান্ডিং কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়েও বিশেষ অধিবেশনে আলোচনা হবে বৈঠকে। এ বিষয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শুক্রবার বেলা ১২টায় বিএ কমিটির বৈঠক হবে। অধিবেশনের শুরুতে শপথ নেওয়ার রীতি রয়েছে। তাই মনে করা হচ্ছে, শুক্রবারই কাটতে চলেছে সায়ন্তিকা-রেয়াতের শপথ জট। যদিও শপথের বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, শপথ জট এখনও না কাটায় বৃহস্পতিবারও বিধানসভায় ধরনায় বসেন সায়ন্তিকা ও রেয়াত।
2. রাজ্যের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষাকর্মীদের জন্য বড়সড় সুখবর। অবসরের সময় মিলবে এককালীন পাঁচলক্ষ টাকা। বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, প্যারা টিচার, অ্যাকাকাডেমিক সুপার ভাইজ়ার, চুক্তিভিত্তিক উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক এবং এসএসকে এবং এমএসকে-র কর্মীরা, ১ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যাঁদের অবসর হয়েছে, তাঁরা এককালীন ভাতার বর্ধিত অঙ্ক পাবেন। রাজ্য সরকারের তরফে আগেই আশা কর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার, ভিলেজ পুলিশদের জন্য বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য। তার মধ্যে ছিল অবসরের সময় এককালীন ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন রাজ্যের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষাকর্মীরা।
এদিকে, বৃহস্পতিবার নবান্নে বিদ্বজনের সঙ্গে আলোচনা সারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অভীক মজুমদার, সংগীত জগতের ব্যক্তিত্ব – নচিকেতা চক্রবর্তী, কুমার বোস-সহ অনেকে। জানা গিয়েছে, রাজ্যের বর্তমান সাংস্কৃতিক পরিবেশ, পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, রাজ্যে সম্প্রতি যে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়েছে ২ নবনির্বাচিত বিধায়কের শপথ নিয়ে, তাতে বিদ্বজনেরা নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ করুন, তা চান মুখ্যমন্ত্রী। গণমঞ্চের নেতৃত্বে তা হতে পারে। যদিও এ বিষয়ে বৈঠকে উপস্থিত সদস্যরা কেউ স্পষ্টভাবে কিছু বলেননি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।