লোকসভা নির্বাচনে অযোধ্যায় পদ্ম ফোটাতে ব্যর্থ হয়েছে গেরুয়া শিবির। এবার সে রাজ্যের এক নির্বাচনেই মুসলিম প্রার্থীকে টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির। কোন নির্বাচনে মুসলিম প্রার্থী দেওয়া হচ্ছে বিজেপির তরফে? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
সদ্য শেষ হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীর কুরসিতেও সেই মোদিই। কিন্তু নতুন মন্ত্রীসভায় একাধিক রদবদল হয়েছে। পুরনো মন্ত্রীরা যেমন সরেছেন, দায়িত্ব পেয়েছেন বহু নতুন মুখ। তবে সেই দলে নেই একজনও মুসলিম নেতা। না থাকাটাই অবশ্য স্বাভাবিক! লোকসভা নির্বাচনে মাত্র একটি আসনে মুসলিম প্রার্থীকে টিকিট দেয় গেরুয়া শিবির। তিনি পরাজিত হওয়ায় মন্ত্রীসভা জায়গা পাননি একজনও মুসলিম নেতা।
এই নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা হয়েছে। বিরোধী শিবিরের তরফে বিজেপির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের অভিযোগও উঠেছে। তারই পালটা হিসেবে যোগীরাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে মুসলিম প্রার্থী টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা উপনির্বাচনে মোরাদাবাদের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে লড়বেন এক বর্ষীয়ান মুসলিম নেতা। যদিও দলের তরফে মুসলিম নেতার নাম ঘোষণা করা হয়নি। এর আগে যোগীরাজ্যের উপনির্বাচনে কোনও মুসলিম নেতাকে প্রার্থী করেনি বিজেপি। তাই যোগীরাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে মুসলিম নেতাকে টিকিট দেওয়া বিজেপির ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আসলে, যে কেন্দ্রের জন্য উপনির্বাচন, সেখানে এর আগে বিধায়ক ছিলেন মুসলিম নেতা। মনে করা হচ্ছে, সেই কারণে একজন মুসলিমকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে আরও বড় রাজনৈতিক কারণ থাকতে পারে বলেই মনে করছেন ভোটকুশলিরা। তৃতীয়বারের জন্য সরকার গড়লেও লোকসভা ভোটে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। এর নেপথ্যে একাধিক কারণ খুঁজেছিলেন ভোট কুশলীরা। কেউ কেউ এমন দাবিও করেছিলেন যে, বিজেপির প্রার্থী বাছাইয়ে ভুল ছিল। বিশেষ করে মাত্র একজন মুসলিম নেতাকে টিকিট দেওয়া বিজেপির ভুল হিসেবেই দেখেছিলেন অনেকে। মনে করা হচ্ছে, যোগীরাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে এই ধরনের কোনও ভুল না করতেই প্রার্থী হিসেবে মুসলিম নেতাকে বেছে নিয়েছে গেরুয়া শিবির।