রাহুল থেকে মহুয়া, সাংসদ পদ বাতিল হয়েছে একাধিক দাপুটে নেতার। সবটাই নিয়ম মেনে। যা সংবিধানে উল্লিখিত এবং দীর্ঘদিন ধরে মেনে চলা হচ্ছে। ঠিক কোন কোন নিয়মে বাতিল হতে পারে সাংসদ পদ? সংসদে গরহাজির থাকলেও কি একই শাস্তি জোটে? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের পর শেষ হয়েছে সরকার গঠন প্রক্রিয়া। লোকসভার নতুন অধিবেশন শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। একে একে শপথ পাঠ করবেন ৫৪৩ সাংসদ। আগামী পাঁচ বছর নির্দিষ্ট কেন্দ্রের উন্নতি কাজ করবেন তাঁরা। তবে সাংসদ হিসেবে মানতে হবে কিছু নিয়ম। অন্যথায় বাতিল হতে পারে পদ।
আরও শুনুন: দুধ থেকে মাংস, দেশে নিষিদ্ধ একাধিক খাবার! কেন জানেন?
গত অধিবেশনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ বাতিল নিয়ে বেশ হইচই হয়েছিল। তবে তা নিয়ম বিরুদ্ধ ছিল না। সংবিধানেই সে নিয়মের উল্লেখ রয়েছে। যা না মানলে বাতিল হয় সাংসদ পদ। এক্ষেত্রে প্রথমেই বলতে হয় সংসদে হাজিরার কথা। নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক সাংসদকে সমস্ত অধিবেশনে অংশ নিতে হবে। তবে শারীরিক অসুস্থতা বা অন্য কোনও সমস্যার কারণে অনেকেই নিয়মিত হাজির থাকতে পারেন না। এক দুদিন কামাই করলে কোনও সমস্যা নেই। তবে টানা দু’মাস অর্থাৎ ৬০দিন সংসদে না গেলে বাতিল হবে সাংসদ পদ। একইভাবে শপথ গ্রহণের ক্ষেত্রেও মানতে হয় একাধিক নিয়ম। নয়া সাংসদরা নিজেদের পছন্দের ভাষায় শপথ পাঠের সুযোগ পান। আবার সাংসদ যদি প্রতিবন্ধী হন, তাহলে তাঁর হয়ে অন্য কেউ শপথ পাঠ করে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে সেই ব্যক্তির পাঠ শুনে পুনরায় শপথ নেন প্রতিবন্ধী সাংসদ। আবার কেউ যদি অধিবেশনের প্রথম দিনই অনুপস্থিত থাকেন তাহলে অন্যদিন শপথ গ্রহণের ডাক পান।
আরও শুনুন: ক্রিকেটের পুরুষশাসিত মাঠেই কমেন্ট্রি নারীর, প্রথম পথ দেখালেন কে?
শপথগ্রহণের পর প্রত্যেক সাংসদই বিতর্কে অংশ নেওয়ার সুযোগ পান। লোকসভায় কোনও ইস্যুতে ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকে তাঁদের। অনেক সময় দেখা যায় সরকার পক্ষ নতুন কোনও বিলের প্রস্তাব এনেছে। সেখানে তাঁদের তরফে থাকা সাংসদরা সকলেই সম্মতিসূচক ভোট দিয়েছেন। কিন্তু বিরোধীরা ভোট না দেওয়া অবধি সেই বিল লোকসভায় পাস হবে না। তাই বিরোধী শিবিরের সাংসদরা অনুপস্থিত থাকলে সরকার পক্ষের লাভ। আবার অনেক সময় বিতর্ক এমনই জটিল পর্যায় পৌঁছে যায়, বিরোধী শিবিরের সকলেই অধিবেশন ওয়াকআউট করে বেরিয়ে যান। এই ধরনের বিরোধীশূন্য অবস্থাতেও বিল পাস করিয়ে নিতে পারে সরকার পক্ষ। এই ধরনের পক্ষপাতিত্ব এড়াতেইব সংসদের সকল সদস্য নিয়মিত উপস্থিত থাকা প্রয়োজন। বিরোধী পক্ষের সাংসদরা গরহাজির থাকলে আখেরে গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর ক্ষতি।