এমন কোনও জায়গা জানেন, যেখানে জন্ম মৃত্যু দুই’ই আইনত নিষিদ্ধ? তেমনই এক স্থান নরওয়ের গ্রাম, লংইয়েরবাইন। জন্ম বা মৃত্যুর সম্ভাবনা এলে কী করেন এ গ্রামের অধিবাসীরা? শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।
এমন কোনও জায়গা জানেন, যেখানে আইন করে জন্ম মৃত্যু দুই’ই নিষিদ্ধ? সেরকম এক জায়গার গল্পই শোনাই আপনাদের।
সময়টা খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতক। গ্রিক সাম্রাজ্যের দুই জনপদ এথেন্স আর স্পার্টা। তাদের মধ্যে বৈরিতা লেগেই থাকে। এই দুই সাম্রাজ্যের মধ্যে লাগল ভয়ংকর যুদ্ধ। সেই যুদ্ধ শুরু হল ডেলস দ্বীপের উপকূলে। ডেলস দ্বীপ গ্রিকদের কাছে ছিল খুবই পবিত্র স্থান। গ্রিক পুরাণ অনুযায়ী, এই দ্বীপে জন্মেছিলেন দুই দেবতা। অ্যাপেলো এবং আর্টেমিস। এই যুদ্ধ ইতিহাসে পরিচিতি পেলোপনেশিয়ান যুদ্ধ নামে। এই যুদ্ধে দু’তরফেরই ব্যাপক ক্ষতি হয়। প্রাণহানি হয় হাজার হাজার মানুষের। ডেলস দ্বীপ ভরে যায় গণকবর আর মৃত মানুষের দেহাবশেষে। এই সময় নাকি একদিন আকাশ থেকে দৈববাণী হয়। এমন পবিত্র ভূমি কলুষিত করার জন্য বর্ষিত হয় অভিশাপ। এরপরেই গ্রিসের রাজা আইন প্রণয়ন করেন, এই দ্বীপে জন্ম-মৃত্যু দুই’ই নিষিদ্ধ।
আরও শুনুন: ডানাওয়ালা মানুষ নাকি অন্য কিছু! মৃত্যুর বার্তা বয়ে আনে রহস্যময় Mothman
পৃথিবীতে ডেলস দ্বীপই প্রথম জায়গা, যেখানে আইন করে মানুষের সহজাত দুই অবস্থা, জন্ম ও মৃত্যু দুই’ই নিষিদ্ধ হয়েছিল। এর পরবর্তী সময়ে পৃথিবীর নানা স্থানে আইন করে জন্ম মৃত্যু নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে সেসবের মধ্যে যদিও কোনও দৈব কারণ বা যুদ্ধ জুড়ে নেই।
উত্তর মেরু থেকে আটশ মাইল দূরে নরওয়ের গ্রাম, লংইয়েরবাইন। এখানে চার মাস সূর্যের আলো দেখা যায় না। পৃথিবীর উত্তরতম প্রান্তে শেষ বাসযোগ্য জনপদ। চারিদিকে পরিত্যক্ত কয়লা খনি আর মরু ভাল্লুকে উপদ্রুত একটি অঞ্চল। এখানেই আইন করে নিষিদ্ধ জন্ম মৃত্যু। অথচ এখানে বাস করেন অন্তত দু’হাজার বাসিন্দা।
তাহলে তাঁরা মৃত্যুর জন্য যান কোথায়! কেউ সন্তানসম্ভবা হলে তাঁদেরই বা কী করণীয়? এহেন নিয়মের বা কারণ কী?
বাকি অংশ শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।