রাজনীতির ময়দানে প্রথমবার পা রেখেই সাংসদ হয়েছেন অনেকে। তাঁদের নিয়ে শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে লোকসভা অধিবেশন। এই আবহে সাংসদদের বেতন নিয়ে জোর চর্চা চলছে। কিন্তু জানেন কি দেশের সাংসদের থেকেও অনেকটাই বেশি বেতন পান মুকেশ আম্বানির রাঁধুনি! ঠিক কত সেই বেতন? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
লোকসভা ভোট শেষ হয়েছে সদ্য। ফলাফল নিয়েও যাবতীয় মাতামাতি শেষের মুখে। ইতিমধ্যেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নাম। নতুন মন্ত্রী ও সাংসদদের নিয়ে শীঘ্রই বসছে লোকসভা অধিবেশন। এই আবহে সাংসদের মাইনে নিয়ে চর্চা জুড়েছে নেটদুনিয়া। পাশাপাশি উঠেছে আরও একটি চর্চার বিষয়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সাংসদদের চাইতেও অনেকটা বেশি মাইনে পান মুকেশ আম্বানির রাঁধুনি!
আরও শুনুন: গরমে গলে যায় জুতো, তবু ১২ দিনে হাজার কিলোমিটার দৌড়ে রেকর্ড ৫২ বছরের মহিলার
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, একজন সাংসদ প্রতি মাসে মূল বেতন হিসেবে এক লক্ষ টাকা পান। বছর কয়েক আগেই তা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া যে এলাকার তিনি জনপ্রতিনিধি, সেখানকার কাজকর্ম পরিচালনার জন্য প্রতি মাসে সত্তর হাজার টাকা বরাদ্দ থাকে। এই টাকায় সেখানে নতুন দপ্তর খোলা, কিছু স্থানীয় কর্মী নিয়োগের কাজ করা যেতে পারে। এছাড়াও সাংসদকে নিজের অফিস চালানোর জন্য ষাট হাজার টাকা দেওয়া হয়। বেতনের পাশাপাশি ভাতাও পান এ দেশের সাংসদরা। সংসদ ভবনে যদি অধিবেশন চলে বা সংসদীয় কমিটির কোনও স্থায়ী বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়। তাহলে সেখানে হাজির থাকার জন্য দুহাজার টাকা দেওয়া হয়। এছাড়া অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে প্রত্যেক সাংসদ দেশের যেকোনও প্রান্তে যাওয়ার জন্য ৩৪টি বিমান সফর বিনামূল্যে পান। সারা বছর বিনামূল্যে ট্রেনের ফার্স্টক্লাস কামরায় সফর করতে পারেন। তা সে পেশাগত সফর হোক বা ব্যক্তিগত সফর। এমনকী, কোনও সাংসদ নিজের কেন্দ্রে গাড়ি নিয়ে ঘুরলে তার জ্বালানির টাকাও পেয়ে যান। বাড়ি, গাড়ি সবই একপ্রকার বিনামূল্যে। কিন্তু মূল বেতন বলতে গেলে প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা।
আরও শুনুন: রেল দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি পেতে অপেক্ষা করতে হবে ২২৭ বছর! কিন্তু কেন?
অথচ তথ্য বলছে দেশের অন্যতম ধনকুবের মুকেশ আম্বানির বাড়ির পরিচারকের মাইনেও এর থেকে বেশি। আম্বানির রাঁধুনির কথাই ধরা যাক। পারতপক্ষে তাঁকে রাজার রাঁধুনিও বলাই যায়। তাই বেতনের বহরও অবশ্যই রাজকীয়। জানা যায়, প্রতি মাসে আম্বানির রাঁধুনি ২ লক্ষ টাকা বেতন পান। বছরে ২৪ লক্ষ টাকা। এছাড়া এতবড় মানুষের বাড়িতে কাজের সুবাদে নানা সুবিধা পেয়েই থাকেন। একভাবে দেখতে গেলে সাংসদদের প্রায় দ্বিগুণ মাইনে পান আম্বানির রাঁধুনি। আসলে, রাঁধুনি বলতে যেমনটা ভাবা হয়, আম্বানির রাঁধুনি মোটেও তেমন নন। অর্থাৎ রান্না করতে জানে এমন সাধারণ কোনও ব্যক্তি আম্বানির জন্য রান্না করার সুযোগ পান না মোটেও। এই নিয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং পেশাগত ভাবে রন্ধনশিল্পের সঙ্গে যুক্ত এমন শ্যেফকেই দেওয়া হয় এই চাকরি। যদিও রান্নাবান্না তেমন আহামরি কিছু করতে হয় না বলেই জানা যায়। কারণ মুকেশ আম্বানি খোদ খুবই সাধারণ জীবন যাপন পছন্দ করন। ডাল, রুটির মতো সাধারণ খাবারই তাঁর রোজের ডায়েট। কখনও দক্ষিনি খাবার চললেও, ভারি মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়েই চলেন আম্বানি। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও খানিকটা সেই নিয়মেই চলেন। এছাড়া আম্বানি পরিবারের একটি বিশেষ নিয়মও রয়েছে। খুব অসুবিধা না হলে, পরিবারের সকলে একসঙ্গে নৈশভোজ সারেন। কাজেই রান্না ঠিক হওয়া বাঞ্ছনীয়। সেক্ষেত্রে রাঁধুনির মাইনেও যে এমন রাজকীয় হবে তা বলাই বাহুল্য। তবে দেশের সাংসদদের থেকেও এত বেশি মাইনে পান মুকেশ আম্বানির রাঁধুনি তাতে অবাক হন অনেকেই।