তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মোদি। এই নিয়ে উচ্ছাসের কমতি নেই বিজেপি সমর্থকদের। আরও পাঁচ বছরে মোদি জমানায় দেশের প্রভূত উন্নতির স্বপ্ন দেখছেন অনেকেই। তবে মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে কী বলছেন তাঁর স্ত্রী যশোদাবেন? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
১৯-র লোকসভা নির্বাচনের মতো ফল হয়নি। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না মেলায় এনডিএ জোটের সাহায্যে সরকার গড়েছে বিজেপি। তবে প্রধানমন্ত্রী পদে কোনও বদল হয়নি। তৃতীয়বারের জন্য কুরসিতে বসেছেন নরেন্দ্র মোদিই। সম্প্রতি মোদির প্রধানমন্ত্রীত্ব নিয়েই বিশেষ মন্তব্য করতে শোনা গেল তাঁর স্ত্রী যশোদাবেনকে।
আরও শুনুন: একের পুণ্যে অন্যের সর্বনাশ! তীর্থযাত্রীদের বইতে গিয়েই চারধামে প্রাণ হারায় অবোলা পশুরা
লোকসভা নির্বাচনে বারাণসী কেন্দ্রে জয়লাভ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। তবে দল সংখ্যাগরিষ্টতা না পাওয়ায় তিনিই আবার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছিল। যদিও ফল ঘোষণার দিন দুয়েকের মধ্যেই বিজেপির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মোদিই। রাষ্ট্রপতি ভবনে রাজকীয় অনুষ্ঠানে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে নেহেরুর রেকর্ড ছুঁয়েও ফেলেন মোদি। এই কদিনে তাঁকে নিয়ে চর্চা চলেছে সর্বত্র। একদিকে যেমন বিজেপি আসন কমার কারণ নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে, অন্যদিকে তেমনই আগামী ৫ বছর মোদি কী কি পদক্ষেপ করতে পারেন সেই আলোচনাও চলছে। এই আবহে নানা মুনির নানা মত ভেসে আসছে। আরএসএসের তরফেও ভোটের ফল নিয়ে বিজেপিকে বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছে। রামমন্দিরকে সামনে রেখে ভোট রাজনীতির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন যারা, সেই বিরোধীরাও ভোটের ফল নিয়ে মোদিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তবে এসবের তোয়াক্কা না করে মোদিকে সবসময় সমর্থনও জানিয়ে গিয়েছেন কেউ কেউ। সেই তালিকায় উপরের দিকেই রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী যশোদাবেন। স্বামীকে তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আসনে দেখে তিনি রীতিমতো খুশি হয়েছেন। এমনকি মোদির তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়া, দেশের জন্য ভালো বলেই মনে করছেন যশোদাবেন।
আরও শুনুন: রাহুল হাতে নিতেই দর বাড়ল সংবিধানের? হু হু বিক্রিতে ফুরোল সংস্করণও
সম্প্রতি আগ্রার এক মন্দির দর্শনে গিয়েছিলেন যশোদাবেন। তাঁর আসার খবর পেয়েই বিশেষ ব্যবস্থা নেয় স্থানীয় প্রশাসন। কারণ মোদির স্ত্রীকে দেখার জন্য অনেকেই ভিড় জমাতে শুরু করেন। যদিও যশোদাবেন কোনওরকম বাড়তি সুবিধা নেননি বলেই জানা গিয়েছে। এমনিতেও তাঁর জীবনযাপন এতটাই সাধারণ যে আলাদা করে না বললে তাঁর স্বামী প্রধানমন্ত্রী একথা জানা সম্ভব না। ১৯৬৮ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সংসারজীবন শুরু হয় যশোদাবেনের। কিন্তু তাঁদের দাম্পত্য টিকেছিল মাত্র ৩ মাস। জানা যায়, সংসারধর্ম ত্যাগ করেছিলেন মোদি। এরপর গুজরাটের ঈশ্বরওয়ারা গ্রামে দীর্ঘদিন স্কুল শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করেছেন যশোদাবেন। অবসর নেওয়ার পরে এখন উঞ্ঝাগ্রামে থাকেন ভাইদের সঙ্গে। মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে এর আগেও উচ্ছ্বসিত হয়েছেন যশোদাবেন। ১৯-র নির্বাচনেও স্বামীর জয়ের জন্য মন্দিরে দিনভর প্রার্থনাও করেছিলেন। আর এবারেও মোদির প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে তিনি বেজায় খুশি, এমনটাই জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী যশোদাবেন।