তৃতীয়বারের জন্য মসনদে মোদি সরকার। তবে এবারের মন্ত্রিসভায় রদবদল হয়েছে ভালমতো। দায়িত্ব পেয়েছেন বহু নতুন মুখ। দায়িত্ব হারিয়েছেন বহু চেনা মুখ। ইতিমধ্যে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকও সেরেছেন মোদি। সেখানে ঠিক কী পাঠ দিলেন নমো? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
মুখের কথা আর বন্দুকের গুলি, একবার বেরিয়ে গেলে ফেরানোর উপায় নেই। তাই জ্ঞানীরা বলেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা না বলাই ভালো। এদিকে নেতাদের সেসব বোঝাবে কে! বিরোধী দলের নেতাদের আক্রমণ করতে হামেশাই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন নেতারা। সেই নিয়ে কম জলঘোলা হয় না। কখনও একজন নেতার মন্তব্যের মাশুল গুনতে হয় গোটা দলকে।
আরও শুনুন: ভোট যুদ্ধ নয়, সমাজে বিভেদও বাড়িয়েছে! ভাগবতের সমালোচনায় বদলাবে ভোটের হাওয়া?
চলতি নির্বাচনেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। বিপক্ষ দলের নেতাকে ব্যক্তিগত আক্রমন করতে ছাড়েননি প্রায় কেউই। কিন্তু ভোটের আবহে কোনও রাজনৈতিক নেতা যা মন্তব্য করছেন, একজন মন্ত্রীর কি তেমনটা করা শোভা পায়! তাই মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই সবাইকে বিশেষ পাঠ দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রথমেই সবাইকে প্রবচন দেওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মোদি। অর্থাৎ কোনও কিছু ঘটলেই সেই সম্পর্কে নিজের পাণ্ডিত্য ফলানোর প্রয়োজন নেই বলে মন্ত্রীদের সাফ জানিয়েছেন মোদি। প্রয়োজনের অতিরিক্ত একটিও কথা নয়। এমনকি নিজের দপ্তরের সঙ্গে সম্পর্ক নেই এই ধরনের বিষয়েও কোনওরূপ মন্তব্য নয়। অর্থাৎ কেবলমাত্র প্রয়োজন পড়লেই মন্ত্রীদের মন্তব্য করার নিদান দিয়েছেন মোদি। একইসঙ্গে কাজের প্রতি নিষ্ঠাবান থাকার কথাও বলেছেন মোদি। তাঁর সাফ নির্দেশ, মন্ত্রীরা যেন সময়মতো নিজেদের দপ্তরে পৌঁছে যান। এতে অন্যান্য আধিকারিদের উপর ভালো প্রভাব পড়ে। একইসঙ্গে কাজ ভালো হয়। পাশাপাশি মিলেমিশে কাজ করার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন মোদি। পূর্ণ মন্ত্রীদের প্রতি তাঁর নির্দেশ, যে কোনও সিদ্ধান্ত প্রতিমন্ত্রীদের জানাতে হবে। একইসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রীদেরও সে ব্যাপারে জানানোর কথা বলেছেন মোদি।
অর্থাৎ কোনও অবস্থাতেই মোদি সরকারের দিকে যেন আঙ্গুল না ওঠে সেই ব্যবস্থা আগেভাগে সারতে চেয়েছেন মোদি। এমনিতে তিনি নিজেও কাজের প্রতি নিষ্ঠাবান বলেই জানা যায়। মোদি নিজেও সেকথা উল্লেখ করেন বারবার। এবার নিজের মন্ত্রিসভাতেও সেই কাজের ছাপ স্পষ্ট করতে চাইছেন নমো। একইসঙ্গে বিজেপি নেতাদের দিকে বারবার যে ঘৃণা ভাষণের অভিযোগ ওঠে, সেটিও পাকাপাকি ভাবে বন্ধ করতে চেয়েছেন মোদি। তাঁর মন্ত্রিসভার নেতারা যেন কোনও অবস্থাতেই বেফাঁস মন্তব্য না করে বসেন, সে ব্যাপারে আগেভাগে সাবধান করে দিয়েছেন মোদি।