NDA-র নেতা নির্বাচিত হতেই জোট বন্দনায় মোদি। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ, পেশ সরকার গঠনের দাবি। প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগপত্র হাতে পেলেন মোদি। NDA সরকার গড়ার আবহেই অন্য রাজনীতি দেশে। কেন্দ্রে তৃতীয় ফ্রন্টের সরকার গঠনের চেষ্টায় অভিষেকরা। দলে টানার ভাবনা নীতীশ-নায়ডুকেও। ভোট মিটতেই নয়া রেপো রেট ঘোষণা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। এনডিএ সরকার গড়ার আগেই জোয়ার শেয়ার বাজারেও। লাফিয়ে বাড়ল সেনসেক্স।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 6 জুন 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- রবিবার শপথগ্রহণ মোদির, উপস্থিত থাকবেন ৫ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা
আরও শুনুন: 5 জুন 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- মোদিকেই সমর্থন নীতীশ-নায়ডুর, তৃতীয়বার সরকার গড়ার পথে NDA
বিস্তারিত খবর:
1. ‘মোদি গ্যারান্টি’র স্লোগান বা বিজেপি-বন্দনা নয়, তৃতীয়বার এনডিএর নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদির মুখে জোটবন্দনা। শুক্রবার সংসদের সেন্ট্রাল হলে এনডিএর বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী পদে মোদির নাম প্রস্তাব করেন রাজনাথ সিং। সর্বসম্মতিক্রমে নেতা নির্বাচিত হন মোদি। এনডিএ জোটের নেতাদের সমর্থনপত্র আগেই পেশ হয়েছিল রাষ্ট্রপতির দরবারে। এর পরই শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সরকার গঠনের দাবি জানালেন হবু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সেই প্রস্তাব মেনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগপত্র নরেন্দ্র মোদির হাতে তুলে দিলেন রাষ্ট্রপতি। জানা গিয়েছে, আগামী ৯ জুন সন্ধে ৬ টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি।
তবে এদিনের ভাষণে নিজের গ্যারান্টির কথা, নিজের দলের কথা একবারও উল্লেখ করেননি মোদি। বদলে এনডিএ জোটের তথা শরিক দলগুলির ঐক্যের ভূয়সী প্রশংসা করে হবু প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অন্যান্য জোট পাঁচ বছরের জন্য হয়। কিন্তু আমাদের জোট ৩০ বছরের। ৩ বার আমরা সরকার চালিয়েছি। চতুর্থবারে পা রাখছি। ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে স্বাভাবিক জোট।” পাশাপাশি জোটের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা প্রকাশ করে শরিকদের সতর্কও করে দিয়েছেন মোদি। শুধু জোটশরিকরাই নন, এতদিন যেসব নেতা তাঁর কাছে প্রায় বিস্মৃত ছিলেন, তাঁদের কথাও শোনা গিয়েছে মোদির মুখে। এনডিএ-র গোড়াপত্তন করা অটলবিহারী বাজপেয়ী, বালাসাহেব ঠাকরেদেরও এদিন স্মরণ করেছেন মোদি। এমনকি এনডিএ-র বৈঠক শেষে লালকৃষ্ণ আডবানীর বাড়িতেও যান তিনি।
2. দিল্লিতে এনডিএ সরকার গঠনের মঞ্চ প্রস্তুত, বিরোধী আসনে বসার কথা জানিয়েছে ইন্ডিয়া জোটও। তবে এরমধ্যেই একটি তৃতীয় ফ্রন্ট গঠন করে কেন্দ্রে সরকার গঠনের প্রস্তুতি শুরু আঞ্চলিক দলগুলির। জানা যাচ্ছে, আঞ্চলিক দলগুলি মিলিতভাবে সরকার গঠন করলে তৃতীয় ফ্রন্টের অংশ হবেন নীতীশ-নায়ডুরাও।
নির্বাচনে ‘ম্যাজিক ফিগারে’র অনেক আগেই থামতে হয়েছে বিজেপিকে। এদিকে আঞ্চলিক দলগুলি ভালো ফল করায়, কেন্দ্রে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রয়েছে তাদের। টিডিপি এবং জেডিইউয়ের ভরসাতেই তৃতীয়বার সরকার গড়ার পথে বিজেপি। অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোটের সম্মিলিত আসনের সঙ্গে টিডিপি ও জেডিইউকে পাশে পেলে এবং আরও কিছু ছোট আঞ্চলিক দল ও নির্দলদের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন অসম্ভব হত না। তবে রাজধানীর রাজনীতির অনুমান, অকংগ্রেসী দলের কোনও নেতাকে প্রধানমন্ত্রী পদে মেনে নিতে নারাজ হাত শিবির। সেই দাদাগিরি মানতে নারাজ বলেই তৃতীয় ফ্রন্টের চেষ্টা করছে একাধিক আঞ্চলিক দল, এমনটাই শোনা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে নীতীশকে প্রধানমন্ত্রী পদের প্রস্তাব দেওয়া, নায়ডুর এনডিএ-কে দেওয়া শর্তগুলি মেনে নেওয়া হতে পারে। তাঁরা রাজি হলে, তৃতীয় ফ্রন্টের সরকার গঠনে খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথা নয়। সেই সরকারে নীতিগতভাবে সমর্থন দিতে বাধ্য থাকবে কংগ্রেসও। সব মিলিয়ে নয়া সরকার গঠনের আগে এখনও টালমাটাল দেশের রাজনীতি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।