নোবেলজয়ী থেকে কাউগার্ল! এবার সিনেমার পর্দায় মালালা ইউসুফজাই। সে ছবি সামনে আসতেই মালালাকে তোপ নেটিজেনদের। কিন্তু হলটা কী?
বিশ্বে সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে নোবেল পেয়েছিলেন মালালা ইউসুফজাই। তাঁকেই এবার দেখা যাবে রুপোলি পর্দায়। কাউগার্লের ভূমিকায়। আর সে ছবি সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন নেটিজেনদের এক অংশ। মালালার এই ভূমিকা বদল নিয়ে রীতিমতো বিরক্ত তাঁরা।
আরও শুনুন:
তালিবানের গুলিতে উড়েছিল মাথার খুলির অংশ, বইয়ের তাকে এখনও তা সাজিয়ে রেখেছেন মালালা
এর আগে সিনেমার কার্যনির্বাহী প্রযোজক হয়েছিলেন মালালা। ২০২৩ সালে অস্কারে গিয়েছিল তাঁর প্রযোজিত ছবি ‘জয়ল্যান্ড’। প্রদর্শিত হয়েছিল কান-এর মঞ্চেও। এবার আর পর্দার নেপথ্যে নয়, সরাসরি পর্দার সামনেই আসছেন নোবেলজয়ী তরুণী। ‘উই আর লেডি পার্টস’-এর দ্বিতীয় পর্বে তাঁকে দেখা যাবে কাউগার্লের ভূমিকায়, জানিয়েছেন মালালা। ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে টিভি সিরিজটির পোস্টার। মালালাকেও দেখা যাচ্ছে সেখানে। কাউবয় হ্যাট পরে, ঘোড়ায় চড়া মালালাকে দেখা যাচ্ছে পোস্টারে। আর এই ছবি সামনে আসতেই দ্বিধাবিভক্ত নেটদুনিয়া। নোবেলজয়ী মালালা কেন সিনেমায় অভিনয় করছেন, এই প্রশ্নে নিন্দার ঝড় তুলেছেন নেটিজেনদের একাংশ। কেউ কেউ সাম্প্রতিক কালের প্যালেস্তাইন ইস্যু টেনে বলেছেন, কই, এ নিয়ে তো কোনও কথা বলছেন না মালালা। কিন্তু তেমন যুক্তিসহ প্রশ্ন কমই, বরং অধিকাংশেরই তোপ কেবল মালালার অভিনয় করা নিয়েই। কারও কারও বক্তব্য, বরাবর অভিনয়ই করে আসছেন মালালা। তিনি যা করেন, যা করেছেন, তার কোনও কিছুই সত্যি নয় বলে দাবি বক্তার। কেউ বলছেন, হ্যাঁ, ওই কাজটিই ভালো পারেন মালালা। আরও এক ধাপ এগিয়ে অনেকের আক্ষেপ, মালালাকে নোবেল দেওয়ার সিদ্ধান্তই আসলে ভুল ছিল।
আরও শুনুন:
আর এক মালালা! তালিবান হানায় ভাঙা দেওয়ালে ছবি আঁকেন কাবুলের অ্যাসিড আক্রান্ত তরুণী
এমনিতে প্রথম থেকেই রক্ষণশীলতা সংক্রান্ত ইস্যুতেই নাম জড়িয়েছে মালালার। যে অঞ্চলে তাঁর জন্ম, বেড়ে ওঠা, তালিবান শাসনে সেখানে নারীর অবস্থা খাঁচায় বন্দি হয়ে থাকার মতো। বোরখা হিজাব চাপানো থেকে স্কুলে না যাওয়া তথা বাইরে না বেরোনো, এমনই হাজারও ফতোয়া তাঁদের নিত্যদিনের সঙ্গী। সেখানেই নিষেধ না মেনে স্কুলে যেতে গিয়ে গুলি খান মালালা। সেই ঘটনার সূত্রেই তাঁর নাম জানতে পারে গোটা বিশ্ব। সেই সময়েই তাঁকে আশ্রয় দিয়েছিল ব্রিটেন। দেশে আর ফেরা হয়নি মালালার। সেই সময় থেকেই নারীর শিক্ষা ও অধিকার রক্ষার জন্য, মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে চলেছেন তিনি। আফগানভূমে ফের তালিবান শাসন প্রতিষ্ঠার সময়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মালালা। অন্যদিকে বিভিন্ন ইস্যুতে রক্ষণশীল গোষ্ঠী থেকে তির ছুটে আসে তাঁর দিকে। এবার সিনেমায় অংশগ্রহণ করা নিয়েও ঘটল তেমনটাই।