শোয়েব মালিক অতীত। সেই অতীতকে বাদ দিয়েই নিজের ঠিকানা গড়লেন সানিয়া। অথবা গড়লেন জীবনটাই। শুনে নেওয়া যাক।
মেয়েদের নিজের বাড়ি থাকে না। অন্তত সমাজ দীর্ঘদিন তেমনই এক পরিসর তৈরি করে রেখেছিল। কিন্তু যুগ বদলেছে। কেবল বাপের বাড়ি আর বরের বাড়ি, এই দুয়ের বাইরে একেবারে নিজস্ব ঠিকানার কথাও মেয়েরা ভাবছেন বইকি। যে ঠিকানা অন্য কোনও পুরুষের উপর নির্ভরশীল নয়। সেই পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কের কী পরিস্থিতি, তার উপর নির্ভর করবে সেই ঠিকানা থাকবে কি না? এমন পরিস্থিতি আর চান না মেয়েরা। সম্প্রতি তেমনই মেজাজ যেন ধরা পড়ল টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার একটি পোস্টে। শোয়েব মালিকের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের জল্পনা ছিল দীর্ঘদিনের। শেষ পর্যন্ত সে জল্পনা সত্যি বলেই ঘোষণা করা হয়েছে। বিয়ের পর দুবাইয়ে শোয়েব-সানিয়া যে ঘরবসত পেতেছিলেন, তা ভেঙে গিয়েছে স্বভাবতই। কিন্তু সেই অতীতকে পিছনে ফেলে এবার নিজের ঘরের ছবি দিলেন সানিয়া। যে ঘর তাঁর একান্ত আপনার। যেভাবে প্রতিপক্ষের থেকে উড়ে আসা বল উড়িয়ে দিতেন সপাটে, সেই সপাট মেজাজেই এবার অতীতকে বাইরে ফেলে দিলেন সানিয়া। আর কোর্টের আত্মবিশ্বাসী মেজাজেই বুঝিয়ে দিলেন এ বাড়ির মালিক কেবল তিনি ও ইজহান। মা ও ছেলে।
আরও শুনুন:
মা যা ছিলেন, যা হইয়াছেন, যা হইবেন…
টেনিস দুনিয়ায় নিজের জমি শক্ত করে নিতে নিতে বিপুল জনপ্রিয়তাও কুড়িয়ে নিয়েছিলেন সানিয়া। পাক ক্রিকেটার শোয়েবের সঙ্গে তাঁর বিয়ে পাপারাজ্জিদের তুমুল আকর্ষণ কেড়েছিল। যদিও নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে কখনোই খুব বেশি প্রকাশ্যে মেলে ধরেননি সানিয়া। তবে সাম্প্রতিক অতীতে তাঁর পোস্টে শোয়েবের অনুপস্থিতি, ছেলের জন্মদিনের একলা ছবি, সব মিলিয়ে বিচ্ছেদের জল্পনা ক্রমে তীব্র হচ্ছিল। শোয়েবের সঙ্গে অন্য নারীর সম্পর্কের কথাও উঠছিল। তখনও চুপ করেই ছিলেন সানিয়া। অবশেষে অভিনেত্রী সানা জাভেদের সঙ্গে শোয়েব মালিক যখন বিয়েটা করেই ফেললেন, তখন সানিয়ার তরফ থেকেও স্বীকার করে নেওয়া হল যে, আগেই খুলা অর্থাৎ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে তাঁদের।
আরও শুনুন:
নারী-পুরুষ দ্বন্দ্ব নয়, শ্রম-সম্মান-মজুরির প্রশ্নেই উঠে আসছে শ্রমজীবী নারীর পৃথিবী
ভাঙনের জের যে সানিয়াকে অক্ষত রাখেনি, তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে তার ইঙ্গিত মিলেছিল বইকি। কিন্তু তিনি তো খেলার মাঠের মেয়ে। প্রতিকূলতাকে মাঠের বাইরে ফেলে দিতে তিনি জানবেন না, তাও কি হয়! তাই দীর্ঘদিন বাদে এবার যখন তিনি একগুচ্ছ ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন, দেখা গেল সেখানে মালিন্যের লেশ মাত্র নেই। বন্ধুদের সঙ্গে, ছেলের সঙ্গে তাঁর ঝলমলে ছবি দেখে মুগ্ধ অনুরাগীরা। আর সেইসব ছবির প্রথমেই রইল বাড়ির নেমপ্লেটের ছবি। সেখানে কেবল লেখা, সানিয়া ও ইজহান। নিজের ঠিকানা, নিজের জগতের ছবি দিয়ে সানিয়া মির্জা এবার বুঝিয়ে দিলেন, নিজেকে নিজের মতো গুছিয়েই নিয়েছেন তিনি।