মনের মানুষ। তার সঙ্গে মনের মিল হতেই হয়। কাজেই পছন্দ-অপছন্দের মিলও হতে বাধ্য। সমস্যা শুধু একটা জায়গায়। রাজনৈতিক মত। মনের মিল থাকলেও মিলছে না রাজনৈতিক পছন্দ। আর এই সমস্যা কোনও একজনের নয়। কী জানাচ্ছে নয়া সমীক্ষা? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
রাজনীতি আর প্রেম। দুইয়ের যোগ ঠিক কোথায়? এককথায় বলতে গেলে নেই। কিন্তু তবু যেন প্রেমের থেকে রাজনীতিকে আলাদা করা যায় না। কিংবা উলটোটা। অর্থাৎ রাজনীতির মাঝেও অনায়াসে ঢুকে পড়ছে প্রেমের সম্পর্ক। সেখানে মানিয়ে নিয়েই স্বচ্ছন্দবোধ করছেন একাংশ। কেউ বা রাজনৈতিক মতের অমিল বলেই ছেড়ে বেরিয়ে আসছেন সম্পর্কের বাঁধন থেকে।
আরও শুনুন: নারী-পুরুষ দ্বন্দ্ব নয়, শ্রম-সম্মান-মজুরির প্রশ্নেই উঠে আসছে শ্রমজীবী নারীর পৃথিবী
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ডেটিং অ্যাপ কোনও নতুন ব্যাপার নয়। যে কোনও বয়সের মানুষই এইসব অ্যাপের মাধ্যমে পছন্দের মানুষ খুঁজে নিতে পারেন। সম্পর্ক মানেই যে বিয়ে তা নয়। সেই সংজ্ঞাও বদলেছে। কেউ কেউ স্রেফ পছন্দের মানুষের সঙ্গ চাইছেন বলেই সম্পর্কে জড়াচ্ছেন। তবে সব ক্ষেত্রেই মনের মিল থাকাটা আবশ্যক। সেক্ষেত্রে ছোটখাটো পছন্দ অপছন্দ মিলতেই হয়। আর এই প্রসঙ্গ ধরেই উঠছে রাজনীতির কথা। মনের মিল হলেও মিলছে না রাজনৈতিক মত। একে অন্যকে চেষ্টা করেও নিজের দলে টানতে পারছেন না। ফলে কিছুক্ষেত্রে সম্পর্ক ভাঙছে। কিন্তু আশ্চর্যভাবে বেশিরভাগই মানিয়ে নিতে পছন্দ করছেন। প্রেমের পথে রাজনীতিকে কাঁটা হিসেবে মানতে নারাজ অনেকেই। নিজের মত নিজের কাছে রেখেই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন তাঁরা।
আরও শুনুন: প্রধানমন্ত্রী হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলতে হয়, ভোটের ‘অস্বস্তি’ কাটাতে চান মোদি?
সম্প্রতি এই নিয়েই এক সমীক্ষার আয়োজন করেছিল জনপ্রিয় ডেটিং অ্যাপ। সেখানেই দেখা যাচ্ছে অন্তত ৬৫ শতাংশ ভারতীয় যুগলের রাজনৈতিক পছন্দ মেলে না। এক্ষেত্রে বয়স একটা ফ্যাক্টর অবশ্যই। যুগলের বয়সের তফাৎ বেশি হলে রাজনৈতিক পছন্দ আলাদা হতে বাধ্য। কারণও রয়েছে একাধিক। দুজনের বেড়ে ওঠা আলাদা সময়ে। কাজেই কে কোন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় হয়েছেন সেটা ভীষণভাবে প্রভাব ফেলে। দিল্লিতে এই বৈপরীত্যের হার সবথেকে বেশি, এমনটাই দাবি সমীক্ষার। সে রাজ্যে প্রায় ৬৭ শতাংশ যুগলের রাজনৈতিক মতামত মেলে না। কিন্তু তরুণদের এই নিয়ে তেমন সমস্যা নেই। নিজেদের রাজনৈতিক মত মেলার চাইতে প্রেমকেই প্রাধান্য দিতে চাইছেন দেশের তরুণরা। সেই তুলনায় বেশি বয়সের যুগলদের মধ্যে প্রেমের চাইতেও দামি হচ্ছে রাজনৈতিক পছন্দ। ভোটের আবহে এই তথ্যে বেশ অবাক হচ্ছেন অনেকেই। বিশেষ করে, যে তরুণদের হাতে দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ তাঁরাই যদি প্রেমের টানে নিজেদের মতাদর্শ বিসর্জন দেন তাহলে দেশের কী হবে, সেটাই ভাবছে ওয়াকিবহাল মহল।